নীলাম্বর বাবুর বাগানে। মাত্রেরই উপনয়ন সংস্কারে অধিকার আছে। বেদ স্বয়ং তার প্ৰমাণস্থল। এরা সব ব্রাত্য অর্থাৎ পতিত সংস্কার হয়ে গেছে বটে, কিন্তু শাস্ত্ৰে ধলে, ব্রাত্য প্ৰায়শ্চিত্ত করিলেই আবার উপনয়ন সংস্কারের অধিকারী হয়। আজ ঠাকুরের শুভ জন্মতিথি-সকলেই তঁর নাম নিয়ে শুদ্ধ হবে। সুতরাং আজই উপবীত গ্ৰহণ করিবার প্রকৃষ্ট দিন।” এই বলিয়া তিনি শরৎবাবুকে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য অর্থাৎ ব্ৰাহ্মণ ব্যতীত অন্যান্য দ্বিজাতিকে যেরূপ গাযাত্রীমন্ত্র দেওয়া আবশ্যক তাহা শিখাইয়া দিলেন ও তাহদের সকলকে পৈতা পরাইয়া দিতে আদেশ দিলেন। বলিলেন “কালে দেশের সকলকে ব্ৰাহ্মণপদবীতে উঠিয়ে নিতে হবে ; ঠাকুরের ভক্তদের ত কথাই নাই। হিন্দুমাত্রেই পরস্পর পরস্পরের ভাই। শত শত বৎসর ধরে “ছুয়োনা’ ‘ছুয়োনা’ ব’লে আমরাই এদের এত হীন করে ফেলিছি ও দেশটাকে এমন অধঃপাতে এনে দাড় করিয়েছি। এদের তুলতে হবে, অভয়বাণী শোনাতে হবে। বলতে হবে-তোরাও আমাদের মত মানুষ, তোদেরও আমাদের মত সব অধিকার আছে।” এই উপলক্ষে প্রায় ৫০ জন ভক্ত গঙ্গাস্নান, গায়ত্রীমন্ত্র উচ্চারণ ও শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবকে প্ৰণাম করিয়া উপবীত গ্ৰহণ করেন। আজ কালকার মত তখন পৈতা গ্রহণের আন্দোলন ততটা প্ৰবল হয় নাই সুতরাং এই কাৰ্য্যের জন্য স্বামিজী ও উপরোক্ত ভক্তগণকে সাধারণের নিকট হইতে অনেক বিদ্রুপ ও উপহাস সহ্য করিতে হইয়াছিল। কিন্তু ইহাদের কাহারই সৎসাহসের roc
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।