পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলাম্বর বাবুর বাগানে। —সাক্ষাৎ বালভৈরব স্বামি-শরীরে ভূতলে অবতীর্ণ হইয়াছেন।” স্বামিজী পশ্চিমাস্তে পদ্মাসনে উপবিষ্ট হইয়া অৰ্দ্ধমুদ্রিত চক্ষে তানপুরায় হাত রাখিয়া “কুজন্তং রামর্যামেতি” স্তবটি মধুর স্বরে গাহিতে লাগিলেন—এবং পুনঃ পুনঃ “রাম রাম শ্ৰীরাম রাম’ উচ্চারণ করিতে করিতে আবিষ্টচিত্ত হইতে লাগিলেন। শরৎবাবু বলেন “অক্ষরে অক্ষরে যেন সুধা বিগলিত হইতে লাগিল। স্বামিজীর অৰ্দ্ধ-নিমীলিত নেত্ৰ, হস্তে তানপুরার সুর বাজিতেছে। ‘রাম রাম শ্ৰীরাম রাম’ ধ্বনি ভিন্ন মােঠ কিছুক্ষণ অন্য কিছুই আর শুনা গেল না।’ এইরূপে প্ৰায় অৰ্দ্ধাধিক ঘণ্টা কাটুয়া গেল। তখন কাহারও মুখে অন্য কোন কথা নাই। কণ্ঠনিঃসৃত রামনাম সুধা পান করিয়া সকলেই আজ মাতোয়ারা ! শিষ্য ভাবিতে লাগিল, সত্যই কি আজ স্বামিজী শিবভাবে মাতোয়ারা হইয়া রামনাম করিতেছেন। স্বামিজীর মুখের স্বাভাবিক গাম্ভীৰ্য্য যেন আজ শতগুণে গভীরতা প্ৰাপ্ত হইয়াছে। অৰ্দ্ধনিমীলিত নেত্ৰ-প্ৰান্তে যেন প্ৰভাত সুৰ্য্যের আভা ফুটিয়া বাহির হইতেছে এবং গভীর নেশার ঘোরে যেন সেই বিপুল দেহ টলিয়া পড়িতেছে! সে রূপ বর্ণনা করিবার নাহে ; বুঝাইবার নহে ; অনুভূতির বিষয়। দর্শকগণ “চিত্ৰাৰ্পিতারম্ভ ইবাবতস্থে ” রামনাম কীৰ্ত্তনান্তে স্বামিজী পূর্বের ন্যায় নেশার ঘোরেই গাহিতে লাগিলেন- ‘সীতাপতি রামচন্দ্র রঘুপতি রঘুৱাই’ । বাদক ভাল ছিল না বলিয়া স্বামিজীর যেন রাসভঙ্গ হইতে লাগিল।. অনন্তর সারদানন্দ স্বামিজীকে গাহিতে অনুমতি yroʻ