নীলাম্বর বাবুর বাগানে। বলিতে আহ্বান করিলেন। মিসেস বুল বলিলেন “ভারতের সাহিত্য পাশ্চাত্যবাসীদিগের নিকট একটা জীবস্তু পদার্থ হইয়া উঠিয়াছে, বিশেষতঃ আমেরিকাবাসীদের নিকট স্বামী বিবেকানন্দের কথাগুলি ঘরোয়া কথার মত হইয়া গিয়াছে।” মিস মুলার দাড়াইয়া সমবেত শ্রোতৃমণ্ডলীকে ‘আমার বন্ধু ও স্বদেশীয়গণ’ ঘলিয়া সম্বোধন করিবামাত্র চতুর্দিক হইতে উচ্চ করতালি-নিনাদ হইতে লাগিল । তারপর বলিলেন তিনি এবং স্বামিজীর অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ শিষ্যেরা ভারতে আগমন করা অবধি ভারতকে নিজের দেশ বলিয়া মনে করিতেছেন-শুধু যে আধ্যাত্মিক আলোকের দেশ বলিয়া তাহা নহে, কিন্তু স্বজনের বাসস্থান বলিয়া । * * * স্বামী বিবেকানন্দ পাশ্চাত্য দেশে যে সকল কাৰ্য্য করিয়াছেন তৎসম্বন্ধে তিনি বেশী কিছু উল্লেখ করিতে চাহিলেন না, কেবল বলিলেন, সে দেশের সামাজিক ও দৈনন্দিন জীবনে তিনি যে বিষম পরিবর্তন ও সংস্কার সাধাম করিয়াছেন তাহার ফল যে কতদূর গড়াইবে তাহা তিনি স্বয়ং এক্ষণে অনুমান করিতে সক্ষম নহেন ; ইত্যাদি ইত্যাদি। ৩০শে মার্চ স্বামিজী দাৰ্জিলিং যাত্ৰা করিলেন এবং সেখানে পূর্ণমাত্রায় চিকিৎসকগণের মতানুবৰ্ত্তী হইয়া বিশ্রাম উপভোগ করিতে লাগিলেন। কিন্তু সম্পূৰ্ণ সুস্থ হইতে না হইতেই সহসা কলিকাতার প্লেগের প্রাদুর্ভাববাৰ্ত্তা শ্ৰবণে আয় নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিলেন না । ত্বরায় কলিকাতায় আগমন করিয়া রোগী শুশ্ৰষার বন্দোবস্ত করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। সে সময়ে কলিকাতায় বিষম গোলযোগ। গভর্ণমেণ্টের ክrm S
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২০২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।