পাশ্চাত্য শিষ্যগণকে শিক্ষা প্ৰদুখুন। জীবনের প্রতিমুহূৰ্ত্ত ধন্য, বিশুদ্ধ ও মধুময় জ্ঞান হইত। সেইখানে বৃক্ষসমূহের ছয়াশীতল পাদমূলে বসিযা তিনি তঁহাদের নিকট অজস্ৰ বচনধারায। ভারতবর্ষের গভীরতম তত্ত্ব সমূহের আলোচনা করিতেন। ভারতের আচার, অনুষ্ঠান, ইতিহাস, উপকথা, জাতি, জাতীয ভাব, রীতি নীতি সকলই আলোচিত হইত। তিনি এমন অপূৰ্ব ভাষায় নিপুণ কবি ও নাট্যকারের ন্যায়। ঐ সকল বিষযেব ব্যাখ্যা ও বর্ণনা করিতেন যে মনে হইত যেন ভারতের প্ৰসঙ্গ একখানি পুৰাণ-সকল পুরাণের শেষতম ও শ্রেষ্ঠতম, এবং যেরূপেই উহার আরম্ভ হউক না কেন, উপসংহারে উহা সসীম বস্তু-তন্ত্র ছাড়িয়া অসীমের প্রান্তে উপনীত হইতই! তঁহার শিক্ষা-প্ৰণালীও নূতন ধাবণের ছিল। ভারতবর্ষের অনেক কথা তিনি মুখে উল্লেখ করিতেন না বটে, কিন্তু শ্রোতৃবর্গের কল্পনা সাহায্যে যাহাতে সেই অব্যক্ত অংশ পরিস্ফুট হুইয়া উঠে, তাহাব বর্ণনীয চিত্রের প্রত্যেকটির মধ্যেই এইরূপ শত শত তুলিকাম্পর্শ থাকিত। তাঁহাদের ভিতর হইতে ভারতবর্ষের প্ৰতি একটি প্ৰগাঢ ভক্তি ও শ্রদ্ধার ভাব তাহার প্রতি কথায় স্বতঃই প্ৰস্ফুটিত হইয়া উঠিত। কখনও কাব্যের দুই এক পদ, কখনও বা পুরাণের অস্ফুট চিত্রে তিনি তাহাদিগের মনে হিন্দু অতীত ও বর্তমান জীবনের সনাতন সত্যটা দৃঢ়ভাবে অঙ্কিত করিয়া দিতেন-তাহাতে কখন হরপাৰ্ব্বতী, কখন কালী, তারা, কখনও বা রাধাকৃষ্ণের স্থান থাকিত। হৃদয়ের গভীর উচ্ছাস বশতঃ তিনি সাহিত্য, বিজ্ঞান প্ৰভৃতি যে কোন বিষয়ের অবতারণা रिङन (কারণ র্তাহার নিকট কোন বিষয়ই তুচ্ছ,
- > は