স্বামী বিবেকানন্দ । হীন বা আশ্রদ্ধেয় ছিল না। ) তাহার ভিতর হইতেই আপনি অদ্বৈত অনুভূতির সাহায্যে এমন সকল মীমাংসায্য উপস্থিত হইতেন যে তদ্বারা তঁাহাব শ্ৰোতাবা চবম সত্যের আভাস পাইতেন। সে দৃশ্য দেখিলে মনে হইত যেন আবাব প্রাচীন যুগ ফিরিযী। আসিয়াছে, যেন ব্ৰহ্মাব মানসপুত্রে ন্যান্য নিৰ্ম্মলসংস্কার এক অমনিব পুরুষ ভাবতেব ভাগ্যবিধাতা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হইয়া ইহার লুপ্তগৌবব পুনৰুদ্ধাব ও ভবিষ্যৎ উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করিবাব ইচ্ছায্য কতিপয নির্বাচিত শিষ্যের সমক্ষে মুক্তকণ্ঠে আপন মৰ্ম্মবাণী ব্যক্তি করিতেছেন। তিনি পাশ্চাত্য শিষ্যদের মনে ভাবতবৰ্ষ সম্বন্ধে যত ভ্ৰান্ত ধারণা ছিল তাহ নিৰ্ম্মমভাবে চূৰ্ণ করিতে কিছুমাত্র দ্বিধাবোধ করিতেন না, অথচ হিন্দুসমাজের অভ্যন্তরে যে সকল বৈষম্য, বিভ্ৰাট বা আবৰ্জনা হিন্দুজীবনকে বিষাক্ত ও পযুষিত করিষা ফেলিয়াছে, তাহাবও কঠোব সমালোচনা কবিতে পশ্চাৎপদ হইতেন না । তিনি সর্বপ্ৰকাব বন্ধনকে প্ৰাণের সহিত ঘুণা করিতেন, সে বন্ধনের আকার ষেরূপই হউক না কেন। পায্যের শৃঙ্খল ফুল দিযা ঢাকিলেও শৃঙ্খল ত বটে! দ্বিতীয বুদ্ধেব ন্যায় তিনি চাহিতেন ধৰ্ম্মের রুজ্য সকলেবই নিকট সুগম হউক। ইউরোপীয়দিগের মনে হিন্দুধৰ্ম্মের সে অংশ দুৰ্ব্বোধ্য বা অসহনীয় বোধ হইত। তিনি সে অংশ তাহাদিগের মুখবোচক করিবার জন্য চেষ্টা করিতেন না, বরং সূক্ষ্ম বিচার ও উদাহরণ দ্বারা সেই সকলের নিগৃঢ় ভােব তাহাদের মনে পরিস্ফুট করিবার চেষ্টা করিতেন। যে বিষয়টা পাশ্চাত্য ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীতগামী তিনি সৰ্ব্বাগ্রে সেইটারই ከሦእ&9
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।