পাশ্চাত্য শিষ্যগণকে শিক্ষা প্ৰদান। যুক্তিযুক্ততা দেখাইবার প্রয়াস পাইতেন। স্বভাবতঃ হিন্দুর ধৰ্ম্মাদর্শ, উপাসনা পদ্ধতি এবং জীবনের গতি ও তৎসম্বন্ধীয় বিশ্বাস এই সকল শিষ্যদিগের নিকট সব্বা োক্ষা দুৰ্বোধ্য মনে হইত, সুতরাং স্বামিজী শগুলি যথাসাধ্য সুপরিষ্কার কবিবার জন্য দীর্ঘকাল ধবিষ, তাহাদিগকে বুঝাইতেন, তাহাতে কখনও অধীরতা বা অসহিষ্ণুতা প্ৰকাশ করিতেন না, কিংবা অপ্রাসঙ্গিক ও অকিঞ্চিৎকর মন্তব্যেব। প্ৰতি অবহেলা বা ঔদাসীন্য প্ৰদৰ্শন করিতেন না বা উপহাস করিয়া উড়াইয়া দিতেন না । পাশ্চাত্যের ভাব প্রাচ্যের ভাব হইতে এতই বিভিন্ন, একের জন্ম কৰ্ম্ম, শিক্ষাদীক্ষা, আদর্শ ও আকাজক্ষা অপরের শিক্ষা দীক্ষা ও সংস্কার হইতে এতই বিপৰীত যে তিনি প্ৰত্যেক সামান্য কথাও বিশেষ ধৈৰ্য্যসহকাবে পুনঃ পুনঃ বুঝাইতে বিন্দুমাত্র ক্লান্তি বোধ করিতেন না। তাহার চেষ্টায় প্ৰাচ্যমনেব সহিত পাশ্চাত্য মনের মিলন হই যাছিল এবং ওদেশের শিষ্যেরা এদেশের সতীৰ্থগণের সহিত অতি সুমধুৰ স্পাতৃত্বেব বন্ধনে আবদ্ধ হইয়াছিল। এই ভ্ৰাতৃত্বের ভাব সুদৃঢ় কবিবার জন্য অনেক সময়ে তঁহাকে এমন আচারের অনুষ্ঠান করিতে হইত যাহা পরস্পরগত হিন্দু ভাব হইতে সম্পূৰ্ণ বৈলক্ষণ্যযুক্ত। তিনি অনেক সমযে বহুব্যক্তির সম্মুখে পাশ্চাত্য শিষ্যদিগকে প্রকৃত ব্ৰাহ্মণ ও ক্ষত্রিয় বলিয়া নির্দেশ করিতেন, পানাহারের সময় অগ্ৰে তাহাদিগকে ভোজন করাইতেন, অনেক সময় তাহাদের দ্বারা প্ৰস্তুত খাদ্যাদি গ্ৰহণ করিতেন এবং অন্যান্য সন্ন্যাসী দিগকে সেইরূপ করিতে উৎসাহ দিতেন। এইরূপে তিনি তাহাদিগের w
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।