স্বামী বিবেকানন্দ । মনে যে সঙ্কোচ ও সঙ্কীর্ণতার ভাব বহুকাল ধরিয়া দৃঢ়বদ্ধ হইযছিল সমুলে তাহার উচ্ছেদসাধন করিয়াছিলেন। তঁাহাব সঙ্কল্প ছিল সকল শিষ্যকে এক উদাবি ভ্রাতৃভাবে একীভূত করিবেন। প্রকৃতই তিনি এইৰূপে জগতের দুই বিভিন্ন প্ৰান্ত ও বিভিন্ন ভাবাভিমুখী মনুষ্যজাতিকে মিলিত করিষাছিলেন। কিন্তু শিস্যদিগের স্বাধীনতা ক্ষুঃ করা কখনও তিনি সঙ্গত মনে করিতেন না। তিনি তাহাদিগকে নিজে নিজে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করিতে এবং প্রতিপদে দেখিযা ও ঠেকিয়া শিখেতে, ভুল করিতে ও নিজেদেরই তাহা সংশোধন করিতে উপদেশ দিতেন । এই সকল পাশ্চাত্য শিষ্যের মন প্ৰাচ্য ছাচে ঢালিযা গঠন করিবার একটা বিশেষ হেতু ছিল। এ কাৰ্য্যের দাযিত্ব কতদূর গুরুতর স্বামিজী তাহা সম্পূর্ণ হৃদযঙ্গম করিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন। উহাদের দ্বারা এদেশে কোন কাৰ্য্য সম্পাদন করাইতে হইলে এ দেশের প্রতি উহাদের একটা আস্থা ও মমত্ব বুদ্ধি জন্মান আবশ্যক। নতুবা উহাদিগের পক্ষে এদেশে কাৰ্য্য করা সম্ভব হইবে না। আর এই ঘটনা হইতেই বুঝিতে পারা যাইবে বেদান্ত ও হিন্দুধর্মের প্রতি উহাদের আকর্ষণ একটা সাময়িক ভাবোচ্ছাস বা অসার ভাবুকত মাত্র কিনা। এখনকার এই অনল পরীক্ষাব্য যিনি স্থির হইয়া দাড়াইতে পারিবেন বুঝা যাইবে তিনিই প্ৰকৃত বেদান্ত-রসজ্ঞ বটে, এবং তঁহারই শেষ পৰ্যন্ত টিকিয়া থাকিবার সম্ভাবনা ; কারণ দূর হইতে অদ্বৈততত্বের মাহাত্ম্য যতই গৌরবময় ও তাহার জন্য প্ৰাণ সমর্পণের }ፖጭኳቻ”
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২০৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।