পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গামী বিবেকানন্দ । দেশে হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচার করিতে আমায় স্থাগাষ্ঠী পরিশ্রম করতে হইতেছে। আমার জীবনের সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট খািল.এইখানেই কাটিল। অথচ যে দেশে খৃষ্টান ধৰ্ম্ম এত প্রবল সেখানে কত বাধা বিয়ের মধ্য দিয়া কাৰ্য্য করিতে হইতেছে-দেখিতেছি। কিন্তু এ দেশের লোকের নিকট আমার কাৰ্য্যের মূল্য কতটুকু, আর ইহার কতটুকুইবা তাহারা গ্রহণ করিতে পারে ? বাস্তবিক বলিতে গেলে আমার কার্যের প্রকৃত আদর হইতে পারে কেবলমাত্র ভারতবর্ষে । ভারতবর্ষের লোক আমার নিজের দেশের লোক । তাহারা বুঝিবে যে কি রত্ন আমি শরীরের রক্ত জল করিয়া এখানে ছড়াইয়া যাইতেছি ! এ রক্সের-এই অপরূপ বেদান্ত বিদ্যার সম্পূর্ণ সমাদর শুধু সেই দেশেই সম্ভব। আর হইবেও তাঁহাই। কিছুদিন অপেক্ষা কুর, দেখিবে ভারতের মূলগ্রন্থি পৰ্যন্ত নড়িয়া উঠিবে, তাহার শিরায় স্ট্রিঞ্জ বিদ্যুৎ ছুটিৰে, বিজয়ােল্লাসে ভারতবাসী আমায় বুকে তুলিয়া আঁইৰে ” এখন তঁাহার এই ভবিষ্যদ্বাণী সফল হইতে চলিল। উপরোক্ত কথাগুলি কেহ যেন আত্মাভিমান প্ৰসুত বলিয়া মনে না করেন, কারণ তিনি কখনও নিজের জন্য বিন্দুমাত্র সম্মান চাহিতেন না বা একটা গুরুতর। কাৰ্য্য করিষাছেন বলিয়া মূঢ়ের ন্যায় স্পৰ্দ্ধাও করিতেন না। ঐ কথাগুলি কেবল বেদধৰ্ম্ম ও বেদান্তের প্রতি অবিচলা শ্ৰদ্ধা সুচনা করিতেছে। তিনি জানিতেন বটে, ইহা জগতের একমাত্ৰ সাৰ্ব্বজনীন ধৰ্ম্ম, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ইহাও বুঝিতেন যে, ভারত ব্যতীত আর কোথাও ইহার সম্পূর্ণ মৰ্য্যাদা ও মৰ্ম্ম পরিগ্ৰহ করিবার উপযুক্ত লোক নাই। র্তাহার আরও বিশ্বাস ছিল এই বেদান্তু প্রচারের জন্যই"ক্টাবহার জন্ম ধারণ। Šර්‍ෂ