পাশ্চাত্য শিষ্যগণকে শিক্ষা প্ৰদান । ইচ্ছা যতই লোভনীয় হউক, সাক্ষাৎ সম্বন্ধে এ দেশের লোকের সংস্পর্শে আসিলা ও শত সহস্র বাধা, বিঘ্ন, অসুবিধার পরিচয লাভ করিয়া সেই আদর্শের জন্য প্ৰাণপাত করিতে কৃতসঙ্কল্প থাক। বড় সামান্য কথা নহে। স্বামিজী বুঝিয়াছিলেন যে, আদর্শেব মহিমা সম্যক প্ৰণিধান করিষা, তাহার প্রতি প্ৰগাঢ় অনুরাগ সঞ্চারিত হওযা ব্যতিরেকে কিছুতেই বৰ্ত্তমান মনোভাব স্থায়ী হইবে না । সেইজন্য তিনি এই সকল শিষ্যের অতীত সংস্কাররাশি যথাসম্ভব দূর করিয়া তাহার স্থানে ভারতীয় ভাব প্ৰতিষ্ঠিত করিবার জন্য আপনার সমগ্ৰ শক্তি নিয়োজিত * কবিলেন। তাহাদিগকে বুঝাইলেন যে ইউরোপীযকে যদি ভারতেব কল্যাণেব জন্য জীবন উৎসর্গ করিতে হয় তবে তাহাকে সম্পূর্ণ ভারতীযভাবে চলিতে হইবে, এমন কি আহার বিহার, চাল চলন, পোষাক পরিচ্ছদ, আচার ব্যবহার, কথাবার্তা প্ৰত্যেক বিষযেই হিন্দুভাবাপন্ন হইতে হইবে। ইহার উপর আবাব যিনি হিন্দু রমণীর শিক্ষাভার গ্রহণ করিবেন তঁাহাকে উচ্চবর্ণের হিন্দু বিধবার ন্যায় সম্পূর্ণ নিষ্ঠাবতী ব্ৰহ্মচারিণীর ন্যায় জীবন যাপন করিতে হইবে, কেবল তঁহার কাৰ্য্যপরম্পরা ক্ষুদ্র পারিবারিক ক্ষেত্রের মধ্যে আবদ্ধ না হইযা সমগ্ৰ জাতি বা দেশের প্রতি ব্যাপ্ত হইবে। নিবেদিতাকে তিনি স্পষ্ট বলিয়াছিলেন “তোমার এখন চিন্তায়, ভাবে, অভ্যাসে ও প্রয়োজনে সম্পূর্ণ হিন্দু হইতে হইবে। তোমার জীবনকে এখন ভিতরে বাহিরে নৈষ্টিক ব্ৰাহ্মণ-ব্ৰহ্মচারিণীর আদর্শে গঠিত করিতে হইবে। যদি তোমার খুব প্ৰবল আগ্ৰহ থাকে। তবে উপায় b።”እ ፭S Yx
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।