স্বামী বিবেকানন্দ । ভিখারী এবং আপাতমুৰ্দ্ধিা ভস্মাবৃতদেহ নাগা সন্ন্যাসী সবই যেন র্তাহাদিগের চক্ষে চির নূতন ও চির মাধুৰ্য্যে অভিষিক্ত বলিয। বোধ হইতে লাগিল । স্বামিজীর শিক্ষা প্ৰভাবে তাহারা ক্রমশঃ এই সকলের পশ্চাতে যে নিগুঢ় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক ভাব সকল নিহিত ছিল তাহা হৃদয়ঙ্গম করিতে সমর্থ হইলেন । বাস্তবিক ভারতবর্ষে আগমনের পাব হইতে এই সকল বিদেশীষ শিষ্যগণেব নিকট স্বামিজীী নিজেও একটা প্ৰকাণ্ড প্ৰহেলিকার মত হইয়া উঠিয়ছিলেন। কারণ পাশ্চাত্যে তাহারা তাহাকে শুধু ধম্মাচাৰ্য্যরূপেই দেখিযাছিলেন, ভারতেব উন্নতিকামী কৰ্ম্মৰূপে দেখেন নাই। সেখানে তিনি শুধু জড়জগতের সহিত আধ্যাত্মিক জগতের বিভিন্নতা প্ৰদৰ্শন কবিতে, ভোগান্ধ মানবের চক্ষু খুলিয়া দিতে, মানবত্বের মধ্য হইতে দেবত্ব উপলব্ধির উপায় নির্দেশ করিতেই ব্যস্ত ছিলেন, কিন্তু ভারত প্ৰত্যাবর্তনের পর হইতে র্তাহারা এই সমস্ত ব্যাপারেব অন্তরালে নিহিত আর একটি অপ্ৰত্যাশিত বস্তু দেখিতে পাইলেন-সেটা হইতেছে তাহার জ্বলন্ত স্বদেশপ্ৰেম এবং তজনিত বিষম মৰ্ম্মযাতনা। ভারতীয় নারীকুলের শিক্ষাবিধান ও দেশের মধ্যে বিজ্ঞান ও শিল্পশিক্ষা বিস্তারের আকাঙ্ক্ষা তাহার হৃদয়ের প্রত্যেক স্তর ছাইযা ফেলিয়াছিল। সেই জন্য এক দিকে যেমন তিনি ব্ৰহ্মচৰ্য্য ও ত্যাগের বিশ্লেষণ করিতে কখনও ক্লাস্তিবোধ করিতেন না, অপর দিকে তেমনি তিনি ইতিহাস, সাহিত্য, কলাবিদ্যা ও অপর সহস্ৰ স্থল হইতে ঘটনা ও দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করিযা কেবল ভারতীয় আদর্শ সমূহকেই বিশদ tr
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।