পাশ্চাত্য শিষ্যগণকে শিক্ষা প্ৰদান । ভাবে বুঝাইবার চেষ্টা করিতেন। এমন কি, বলিতেন ভারতীয় চিত্রকলার রীতি, প্ৰকৃতি ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে বুঝিতে হইলে শ্ৰীহীন মাটীর পুতুলকেও উপেক্ষা করা উচিত নহে, কারণ উহার মধ্যেও আধ্যাত্মিক আদর্শটাই আর একভাবে প্ৰকাশ করিবাব চেষ্টা হইতেছে মাত্ৰ। ইহা ব্যতীত প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতাব তুলনা, তাহাদেব সুবিধা অসুবিধা প্ৰদৰ্শন ও জগতের ইতিহাসের উপর হিন্দুধৰ্ম্মের প্রভাব কতদূর পর্য্যন্ত বিস্তৃত হইয়াছে তাহার আলোচনা পরস্পরের সোসাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের উল্লেখ দ্বারা প্রাচ্যোব গৌরব কোনখানে তাহা বিশেষ করিয়া বুঝাইয দিতেন। সমুদয় ১৮৯৮ সালটা এইরূপ শিক্ষাদানে অতিবাহিত হইষাছিল। তাহাব। ফলে এই আদর্শ বিনিময় কাৰ্য্য এরূপ সুসম্পন্ন হইয়াছিল যে এই সকল শিষ্যেরা আর কখনও আপনাদিগকে বিদেশীয় বলিয়া মনে করিতে পারিতেন না। ভারতই যেন তঁহাদের জননী ও ধাত্রী, ভারতের সহিত যেন তাহদের চিরদিনকার শোণিত সম্পর্ক, এইরূপ ধারণা দৃঢ়বদ্ধ হইয়াছিল। ইহাদের একজন একবার স্বামিজীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “স্বামিজী, কিরূপে আপনাকে সব চেয়ে বেশী সাহায্য করিতে পারি ?” তাহাতে তিনি বলিয়াছিলেন “ভারতকে ভালবাসে।” এই ভারতকে ভালবাসাটাই ক্ৰমে সকলের অস্থিমজ্জাগত হইয়া श्झिांछिद्र ।
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।