নাইনিতালে। বান্দাই তাহাদিগের সকলের অগ্ৰণী হইবে।” তাহার ভক্তির উচ্ছাস স্বামিজীর মৰ্ম্মস্পর্শ করিয়াছিল। ক্রমে এই ব্যক্তি স্বামিজীর একজন বিশেষ ভক্ত হইয়াছিলেন এবং মহম্মদানন্দ নাম গ্ৰহণপূর্বক আপনাকে তঁাতার শিষ্য বলিয়া পরিচযা প্ৰদান করিতে লাগিলেন । নৈনীতালে অবস্থানকালে আর একটি ঘটনা হইতে স্বামিজীর হৃদযেয় বিশালতার পরিচয় পাওযা যায়। ওখানে এক স্থানীয় দেবীমন্দিরে প্রতিমা দর্শন করিতে গিয়া তাহার শ্বেতাঙ্গ শিষ্যার দুইজন দেবদাসীকে অজ্ঞতাবশতঃ ভদ্রমহিলা জ্ঞানে তঁহাদের সহিত কথোপকথনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছিলেন। কথায্য কথায় স্বামিজীর পরিচয় পাইয়া উক্ত দেবদাসীদ্বয গৃহগমন কালে তঁাতাদিগের সহিত স্বামিজীকে দর্শন করিবার মানসে। তঁহার বাসায় আসিয়া উপস্থিত হয়। সমাগত সকলেই ইহাতে আপত্তি করিষা বলিলেন, তাহা কিছুতেই হইতে পারে না। স্বামিজীকে উহাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে দেওয়া হইবে না । কিন্তু কৰুণ হৃদয় স্বামিজী তঁহাদিগকে বুঝাইয়া নিরস্ত করিলেন এবং উক্ত নারীদ্বয়কে দশন দিযা কৃতাৰ্থ করিলেন। এমন কি তাহাদিগকে একটিীও ভৎসনা বা পুৰুষ বাক্য না বলিয়া স্নেহমধুর কণ্ঠে তাঙ্গাদিগের সহিত আলাপ করিলেন ও গমনকালে তাহাদিগকে আশীৰ্বাদ করিলেন। তপোবল-সম্পন্ন মঙ্গাপুরুষের ঈদৃশ্য কৃপা অবলোকন করিয়া সমাগত সকলেরই হৃদয দয়ায় श्रुंशळेळ । নাইনিতালের কয়েকজন প্ৰতিষ্ঠাভাজন অধিবাসীর সহিত brミ>
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।