সিংহলে । কিঞ্চিৎ পরে জনতা একটু স্থির হইলে জনৈক গায়ক বেহালা সহযোগে ২০০০ বৎসরের প্রাচীন “তেবরাম” এর কয়েকটি স্তোত্র গাহিলেন। পরে একটি সংস্কৃত স্তোত্ৰও আবৃত্তি করা হইল। অনন্তর মাননীয় পি, কুমার স্বামী মহাশয় স্বামিজীর সম্মুখে আসিয়া এদেশীয় প্রথায় তাহাকে প্ৰণাম করিলেন এবং ইংরাজীতে একটি অভিনন্দুন পত্র পাঠ করিলেন । এই অভিনন্দন পত্রের সংক্ষিপ্ত মৰ্ম্ম এই যে, • সিংহলবাসীরা যে স্বামিজীর ভারত প্ৰত্যাবৰ্ত্তনের পর সর্ব প্ৰথমেই তঁহাকে সম্বৰ্দ্ধনা করিবার সুযোগ প্ৰাপ্ত হইলেন তজ্জন্য আপনাদিগকে ধন্যজ্ঞান করিতেছেন এবং পাশ্চাত্যদেশবাসীর সমক্ষে র্তাহার সাৰ্ব্বভৌমিক হিন্দুধৰ্ম্মের ভাব প্রচার কাৰ্য্যে পরম আনন্দ প্ৰকাশ করিতেছেন। সন্ধ্যা হইয়া যাওয়াতে স্বামিজী অভিনন্দন পত্রের বিস্তারিত উত্তর দিতে পারিলেন না । সংক্ষেপে বলিলেন“আপনাদের অভিনন্দনে আমি পরম আনন্দিত। একটি ভিক্ষুক সন্ন্যাসীকে যে ভাবে আজ সম্বৰ্দ্ধনা করা হইল ইহাতে ভারতের লোক কিরূপ ধৰ্ম্মপ্রিয় তাহা স্পষ্টই বুঝাইতেছে। আমি রাজা নহি, অতিশয় ধন্যবান মহি বা যুদ্ধজয়ী সেনাপতিও নহি, তথাপি আজ। আপনাদের মধ্যে অনেক পার্থিব সম্পদশালী ব্যক্তি আমায় সমাদর করিলেন। ইহাই ধৰ্ম্মপ্ৰাণতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। কারণ এ সম্মান আমায় নহে, ইহা প্ৰকৃত পক্ষে একটি নীতির প্রতি সম্মান । নীতিটি এই-ধৰ্ম্মের জন্য যিনি পরিশ্রম করেন। তিনি পূজাহঁ। আর বাস্তবিকই যদি হিন্দু জাতিকে বাচিতে হয় তবে এই ধৰ্ম্মকেই আশ্রয় করিতে হইবে । ধৰ্ম্মই তাহার জাতীয় জীবনের মেরুদণ্ডস্বরূপ *
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।