আলমোড়া । তুলিলেন, বেশ আনন্দ পাওয়া গেল, আবার পরদিনই হয়ত তাহাকে নিৰ্ম্মমভাবে বিশ্লেষণ ও ছিন্নভিন্ন করিয়া ধরাশায়ী করিলেন । এদেশের অন্যান্য লোকের ন্যায় তাহারও বিশ্বাস ছিল যে কোন একটা ভাব আধ্যাত্মিকতার দিক দিয়া যদি ঠিক বলিয়া প্ৰমাণ হয় ও তাহার সহিত অন্য বিষয়ের সামঞ্জস্য থাকে। তাহা হইলে উহার বাস্তব সত্যতা লইয়া মারামারি করিবার কোন প্রয়োজন নাই, এই ভাবে দেখিতে তিনি প্ৰথম তাহার গুরু শ্ৰীরামকৃষ্ণদেবের নিকট শিক্ষা করেন। একবার নাকি তিনি তাহার নিকট কোন পৌরাণিক ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন, তাহাতে পরমহংসদেব বলেন, “কি ! যাদের প্ৰাণ থেকে এই সব ভাব বেরিয়েছে তারা যে তাঁহাই ছিল তা বুঝতে পারিস না ?” ‘সাধারণ ভাবে” খৃষ্টের পৃষ্ঠায় কৃষ্ণের অস্তিত্ব সম্বন্ধেও স্বামিজী সন্দেতে প্ৰকাশ করিতেন। বলিতেন ধৰ্ম্ম শিক্ষকদের মধ্যে একমাত্র বুদ্ধ ও মহম্মদেরষ্ট শত্রু মিত্র' ছিল, অর্থাৎ তাহাদের নৈতিহাসিকতার প্রমাণ অকাট্য । আর সব যেন ছায়ায় ঘেরা-বিশেষতঃ শ্ৰীকৃষ্ণ । কবি, দার্শনিক, যোদ্ধা, রাখাল, রাজা সব একত্রিত হ’য়ে গীতাহস্তে এক অপূৰ্ব চরিত্রের সুষ্টি হয়েছে।--তারই নাম শ্ৰীকৃষ্ণ । “কিন্তু এখন কৃষ্ণই সকল অবতারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও পূর্ণ।” এই বলিয়া তিনি কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সেই অদ্ভুত চিত্র আমাদের মানসনেত্রের সম্মুখে ধরিলেনসারথি কৃষ্ণ রথীবাহী অশ্বগণকে সংযত করিবার জন্য রশ্মি আকর্ষণ করিয়া সমরক্ষেত্রের চতুর্দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিতেছেন, by8ୋ
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।