আলমোড়া। সুতরাং তিনি দিনকয়েকের জন্য মিঃ ও মিসেস সেভিয়ারকে সঙ্গে লইয়া মঠের জন্য স্থানাদি অনুসন্ধান করিবার উদ্দেশ্যে আলমোড়া হইতে কিছু দূরে এক নিৰ্জন স্থানে চলিয়া গেলেন। এই সময়টা তাহার মনে আবার পূর্বকার হ্যায় স্বল্পাহারী, শীততপসহিষ্ণু, নিজ্জনচারী সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করিবার ইচ্ছা! হইয়াছিল। ৫ই জুন, রবিবার সন্ধ্যাকালে উক্ত নিৰ্জনবাস হইতে আলমোড়ায় প্ৰত্যাগমন করিয়া তিনি দুইটী নিদারুণ শোক-সংবাদ প্ৰাপ্ত হন-একটা, পরমহংস পাওহারী বাবার দেহত্যাগ, অপরটীি তাহার প্রিয় শিষ্য গুডউইন সাহেবের পরলোক গমন। পওহারী বাবাকে তিনি কিরূপ শ্ৰদ্ধা করিতেন ও ভালবাসিতেন তাহ পাঠকগণ অবগত আছেন, সুতরাং উক্ত মহাত্মার তিরোভাব যে তঁাহার নিকট কষ্টকর হইবে তাহাতে আর বিচিত্র কি ? তিনি বলিতেন, রামকৃষ্ণদেবের পরই পাওহারী বাবার স্থান ; কিন্তু গুডউইনের মৃত্যুতে স্বামিজী বিশেষ মৰ্ম্মপীড়া অনুভব করিয়াছিলেন। কিছুদিন পূর্বে গুডউইন আলমোড়ায় ছিলেন। সেখান হইতে তিনি মান্দ্ৰাজে গমন করিয়া “মান্দ্ৰাজ মেল” নামক সংবাদপত্রের অফিসে কাৰ্য্য গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। তথা হইতে রক্তাতিসার রোগে আক্রান্ত হইয়া উতকামন্দ গমন করেন এবং সেইখানেই ২রা জুন তাহার মৃত্যু হয়। এই শোক-সংবাদ প্ৰথম দিন কেহ স্বামিজীকে জানাইতে সাহস করে নাই। দ্বিতীয় দিন মিসেস্ বুলের বাংলাতে এই সংবাদ ধীরে ধীরে তঁাহাকে প্রদত্ত হইলে তিনি অতিশয় ধৈৰ্য্যের সহিত উহার আঘাত সহ্যু করিলেন । কিন্তু ከሦ¢ እኔ y
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।