স্বামী বিবেকানন্দ । বেশীদিন আর ঐ স্থানে থাকিতে পারিলেন না। একদিন ঘলিলেন শ্ৰীরামকৃষ্ণ বাহিরে ভক্তময় হইলেও ভিতরে প্রকৃত জ্ঞানময় ছিলেন, কিন্তু তিনি নিজে ঠিক তাহার বিপরীত অর্থাৎ বাহিরে জ্ঞানের ভাব থাকিলেও ভিতরটা বড়ই কোমলতাপূর্ণ। গুডউইনের মৃত্যুতে তিনি যে কিরূপ ব্যথিত হইয়াছিলেন তাহা নিম্নলিখিত ঘটনাষ বুঝিতে পারা যায। “কষেক ঘণ্টা অতীত হইলে তিনি বলিতে লাগিলেন“আমার একটা মস্ত দুৰ্ব্বলতা হয়েছে-গুডউইনের মূৰ্ত্তিখানা কেবলি মনের ভিতর জাগছে। এটা ত ভাল নষ-মানুষের পক্ষে মাছ বা কুকুরের স্বভাব ছাড়তে না পারা যেমন আগৌরব, স্মৃতির দাস হওযাও তেমনি । মানুষকে এ ভ্ৰান্তির মোহ কাটিয়ে উঠতে হবে, বুঝতে হবে মৃতেরাও ঠিক আগেকার মত আমাদের আশে পাশে আছে, কোথাও ষায় নি। তারা যে নেই, তাদের সঙ্গে যে বিচ্ছেদ হয়েছে এইটো ভাবাই ভুলএইটেই কল্পনা ?--তারপর বলিলেন ‘কোন ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছাতে এই জগদ্ব্যাপার পরিচালিত হইতেছে এটা মনে করাই আহাম্মোকি। তা” যদি হোতে তা’হলে গুডউইনকে হত্যা ক্ষীরার জন্য এরকম ঈশ্বরের সহিত যুদ্ধ ক’রে তাকে নিহত করাই উচিত হোতে না কি ? বল দিকিনী, গুডউইন বেঁচে থাকুলে কৰ্ম্মত কাজ কর্তে পাবৃতো।” । এই সময়ে একদিন তঁহার শিষ্যগণের মধ্যে একজন গুড়াউইন সাহেবের মৃত্যুতে একটি বিলাপ-সঙ্গীত লিখিয়াছিলেন কিন্তু স্বামিজী সেইটী সংশোধন করিতে গিয়া তাহার আদ্যোপান্ত b@发
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।