কাশ্মীয়ে । ভুগিতেছিলেন। ডাক্তার বৈদ্যেরা কিছুই করিতে পারিল না। তখন তিনি জীবনে হতাশ্বাস হইয়া ঐ রকম অবস্থায় সাধারণতঃ লোকে যাহা হয় তাহাই হইলেন অর্থাৎ সাংসারিক বিষয়ে বীতরাগ হইলেন। তারপর স্বামিজীর কথা শুনিতে পাইয়া এবং তিনি একজন যোগীপুরুষ—হয়ত আমার পীড়া আরোগ্য করিয়া দিতে পারেন এই মনে করিয়া একদিন তঁাহাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। স্বামিজী তাহার আহবানে তঁহার গৃহে উপস্থিত হইলেন এবং তঁহার শয্যাপার্শ্বে আসন গ্ৰহণ করিলেন। সেই সময়ে হঠাৎ এই শ্রুতিবাক্যটি তঁহার মনে পড়িয়া গেল-“ব্ৰহ্ম তং পর্যাদাদ্যোহন্যত্ৰাত্মনো ব্ৰহ্মবেদ ক্ষত্ৰং তং পর্যাদাদ্যোহন্তত্ৰাত্মনঃ ক্ষত্ৰং বেদ লোকাস্তং পরাদুৰ্যোহন্যত্ৰাত্মনে লোকান বেদ” (বৃহদারণ্যক ) অর্থাৎ “যিনি মনে করেন। তিনি ব্ৰাহ্মণ হইতে ভিন্ন, তিনি ব্ৰাহ্মণ কর্তৃক অভিভূত হন, যিনি মনে করেন। তিনি ক্ষত্ৰিয় হইতে ভিন্ন তিনি ক্ষত্ৰিয় কর্তৃক অভিভূত হন, এবং যিনি মনে, করেন। তিনি এই চরাচর ব্ৰহ্মাণ্ড হইতে ভিন্ন তিনি এই ব্ৰহ্মাণ্ড কর্তৃক অভিভূত হন।” আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে রোগীর নিকট উহা বলিবামাত্র ঠিক যেন মন্ত্রবৎ কাৰ্য্য হইল। শ্লোকটী আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে তিনি উহার মৰ্ম্মপরিগ্ৰহ করিয়া শরীরে বিশেষ বলানুভব করিলেন এবং তারপর অতি অল্পদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে রোগমুক্ত হইলেন। গল্পটা শেষ করিয়া স্বামিজী বলিলেন “সুতরাং দেখিতেছি, যদিও আমি সময়ে সময়ে বেয়াড় রকম কথাবাৰ্ত্তা বলি এবং রাগিয়াও কথা বলি, তথাপি মনে br@。
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।