कभौों। শত শত জলপ্রপাত শুধু ‘হর হর বম্ বম্ ধ্বনি করিয়া আকুল ভাবে শৈলমালার মধ্য দিয়া নৃত্য করিতে কিয়িতে জগতের পানে এই সময়ে নিবেদিতা একদিন তঁাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন “আচ্ছা, কালীঘাটে দেখিয়াছি শত শত লোক সম্মুখে ভূমি চুম্বন করিতেছে, ইহার অর্থ কি ?” কিয়ৎক্ষণ নিস্তব্ধ থাকিয়া গভীরভাবে উত্তর করিলেন “এই হিমগিরির পদপ্রান্ত চুম্বন করা আর দেবীর সন্মুখস্থ ভূমিখণ্ড চুম্বন করা কি একই জিনিষ নাহে ?” কাশ্মীরে আসার এক সপ্তাহ পরেই স্বামিৰ্জী জনসঙ্গ ত্যাগ করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। মাঝে মাঝে একাকী কোথায় চলিয়া যাইতেন। ফিরিয়া আসিলে সকলে লক্ষ্য করিতেন এক অপরূপ স্বৰ্গীয় দীপ্তিতে তাহার মুখমণ্ডল প্রোজিল হইয়া উঠিয়াছে। সময়ে সময়ে বলিতেন ‘দেহেয় বিষয় চিন্তু করাও পাপ” কখনও বলিতেন ‘শক্তি প্ৰদৰ্শন করা অনুচিত|” { কখনও বা বলিতেন ‘কোন জিনিষই আগের চেয়ে ভাল হয় না, জিনিষ যা তাই থাকে, শুধু আমরাই বদলে যাই, আগের থেকে { ভাল হই’। তিনি মনুষ্যজীবনকে প্রায়ই ভগবৎশক্তির প্রকাশ বলিয়া ব্যাখ্যা করিতেন । এ সময়ে সমাজেয় সংস্পর্শে যেন র্তাহার যন্ত্রণা বোধ হইত, আগেকার মত সন্ন্যাসীর শান্ত ও নিয়াবলম্ব জীবনই ভাল লাগিতেছিল এবং গোড়া থেকে মতলব এটি কোন কাজ করা দিন দিন অসম্ভব হইয়া পড়িতেছিল। র্তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করিবামাত্ৰই স্পষ্ট বুঝা যাইত য়ে নির্জন ܕܡܸܛ1:2
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।