অমরনাথ ও ক্ষীরাভবানী । ঝাপটা সহ্য করিয়াও কেন এ জাতি আজ পৰ্য্যস্ত জীবিত আছে। —এ শুধু ধৰ্ম্মবলে। ভক্তি, বিশ্বাস, ধৰ্ম্মপ্ৰাণতা ইহাই এ জাতির বিশেষত্ব । পরমহংসদেবের নিকট স্বামিজীী ধৰ্ম্মাচরণের প্রত্যেক অঙ্গ, প্ৰতি খুঁটিনাটি উত্তমরূপে শিক্ষা করিয়াছিলেন। সব কাজ যাহাতে শাস্ত্ৰানুযায়ী বা স্পরম্পরাগত প্ৰথানুযায়ী সম্পন্ন হয়। তদ্বিষয়ে তাহার সবিশেষ লক্ষ্য ছিল, তীর্থ যাত্রাকালে তিনি স্ত্রীলোকদিগের ন্যায় গঙ্গাস্নান করিষা, ফলফুল লইয়া অভুক্ত অবস্থায় পূজাদি শেষ করিয়া বিগ্রহের সম্মুখে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিতেন এবং মালাজপ বা প্ৰদক্ষিণাদি কোন কৰ্ত্তব্য অসম্পন্ন রাখিতেন না। :- ইহাতে অবশ্য অনেকে, বিশেষতঃ র্তাহার ইউরোপীয় শিষ্যেরা অনেক সময় আশ্চৰ্য্য বোধ করিতেন। র্তাহারা বুঝিয়া উঠিতে পারিতেন না যে তঁাহার হ্যায় জ্ঞানী ও উচ্চাবস্থাপ্ৰাপ্ত সাধকের পক্ষে পূজা প্ৰদক্ষিণাদি নিয়াঙ্গের অনুষ্ঠানসমূহের আবশ্যকতা কি ? কিন্তু তিনি গড় জিনিষ ভাঙ্গিতে ভাল বাসিতেন না। শত সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া যে ভাবে, যে সকল আচরণ বা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়া কোটি কোটি হিন্দুর ধৰ্ম্মজীবন পরিপুষ্ট লাভ করিয়াছে তাহার প্রতি সন্মান প্রদর্শন করা তিনি অত্যাবশ্যক মনে করিতেন। এ সকল ধৰ্ম্মের বহিরঙ্গ হুইলেও তেঁাহার নিকট অবহেলা বা অবজ্ঞার বিষয় ছিল না। পক্ষান্তরে তিনি বুঝিতেন যে এই সকল নিয়ম পালন দ্বারা পৃষ্ঠাকার পক্ষে এদেশের নরনারীর হৃদয়স্পর্শ করা যত। সহজ হইবে, ইহাদের প্রতি অশ্রদ্ধার ভাব প্ৰদৰ্শন করিয়া শুধু ፱ፖዓ‹ድን
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।