স্বামী বিবেকানন্দ । বড় বড় জ্ঞানের কথা প্রচার করিলে তাহার শতাংশের একাংশও হুইবার সম্ভাবনা নাই। আর তা’ছাড়া যাহারা চরম অদ্বৈত জ্ঞান লাভ করেন নাই তাহদেব পক্ষে ঐ সকল বাহপূজাদি বিশেষ উপযোগী। তঁহাদিগের মনে যাহাতে এই সকলের উপর শ্রদ্ধা শিথিল না হইযা দৃঢ় হয তজ্জন্যও তিনি ঐ সকল নিজে অনুষ্ঠান করিতেন। এবারেও তাঁহাই হইল। প্রথম হইতেই ইউবোপীয়েরা স্বামিজীর ভাবান্তর লক্ষ্য কৰিলেন । দেখিলেন তিনি অন্যান্য তীর্থযাত্রীদের স্থায় সকল প্ৰকাবি কঠোর আচবাণ পালন করিতেছেন- এক সন্ধ্য আহাব, বাকসংযম, একান্তে অবস্থান, মালাজপ ও ধ্যান এই সকলোব প্ৰতি বিশেষ মনোযোগী । সন্ন্যাসিগণের উপরও স্বামিজীর প্রভাব অত্যন্ত অধিক ছিল। প্রথমে অবশ্য তঁহারা তাহার সঙ্গেব বিদেশী লোকগুলিকে দেখিয়া নানা ওজর আপত্তি করিতেছিলেন। প্রধান আপত্তি এই যে, হিন্দু যাত্রীদের তাবুর নিকট স্লেচ্ছ শ্বেতাঙ্গদের তঁাবু পড়িবে কেন ?-উহারা তফাৎ যাউকৃ। সঙ্কীর্ণতা স্বামিজী কোন কালেই দেখিতে পারিতেন না, সুতবাং প্রথম প্রথম এ সকল কৃথা গ্রাহ করলেন না, ইচ্ছা করিয়াই সকলের মাঝখানে আপনাদের উঠাবু ফেলিতে লাগিলেন। কিন্তু শেষে একজন নাগা সাধু আসিযা তাহাকে বিনীতভাবে বুঝাইয়া বলিলেন “স্বামিজি, স্বীকার কবি আপনার ক্ষমতা আছে, কিন্তু তাহা দেখােন কি উচিত ? স্বামিজী কথাটা বুঝিলেন ও তৎক্ষণাৎ তাবু সরাইবার আদেশ দিলেন। আশ্চর্ঘ্যের বিষয়, পরদিবস 8 سي
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।