স্বামী বিবেকানন্দ । পড়িল । পরদিবস সকলে আবার চড়াই ভাঙ্গিতে হইল । অবশেষে তঁাহারা এমন স্থানে পৌছিলেন যেখান হইতে ‘লিডার’ নদীর উৎপত্তিস্থল ৫০০ ফিট নীচে পড়িয়া গেল। সে স্থানটী বরফের মধ্যে প্রচ্ছন্ন। পরদিন হিমশৃঙ্গ ও হিমনদী অতিক্রম করিযী যাত্রীদল “পাস্তবানী” । পাচটী নদীর সম্মিলন ) নামক স্থানে পৌছিলেন। এখানে প্ৰত্যেক নদীতে স্নান করার বিধি । সুতবাং স্বামিজীও সশিষ্যে সেই ভয়ানক শীতেও ভিজা কাপড়ে এক নদী হইতে আব্ব এক নদীতে গিয স্নান করিতে লাগিলেন । ২রা আগষ্ট অমরনাথের দিন। একটা প্ৰকাণ্ড চড়াইযের পর আবার উৎবাই । এক পা এদিক ওদিক হইলেই নিশ্চিত মৃত্যু। যাত্রীরা হিমনদীর ধাব দিযা বহু ক্রোশ অতিক্রম করিয়া অবশেষে একটি খরস্রোতা গিরিনদীর নিকট উপস্থিত হইলেন। এইখানেই স্বান করিয়া আর একটা চড়াই ভাঙ্গিতে হয়, তারপর গুহার দ্বারদেশে পৌছান যায়। স্বামিজী পিছনে পড়িয়াছিলেন। নিবেদিতা আগে আসিয়া তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন। তিনি নিবেদিতাকে অগ্রসর হইতে বলিয়া নিজে স্নান করিতে গেলেন, এবং অৰ্দ্ধঘণ্টা পরে শীতে কঁাপিতে কাপিতে মন্দিরমধ্যে প্রবেশ করিলেন। গুহাটি প্ৰকাণ্ড । তাহার মধ্যে অন্ধকারময় একস্থানে বিরাট তুষারবিগ্ৰহ। স্বামিজীর সর্বাঙ্গে ছাই মাখা, পরিধানে মাত্র একটি কৌপীন। মুখমণ্ডল ভক্তিভাবে প্রোজ্জল। তিনি সাষ্টাঙ্গ হইয়া দেবতা প্ৰণাম করিলেন। গুহামধ্যে শত শত কণ্ঠে bሙዓ&ቌ
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।