অমরনাথ ও ক্ষীরভবানী । দেবতার স্তুতি-নিনাদ প্ৰতিধ্বনিত হইতে শুনিয়া এবং শুত্র স্বচ্ছ বিগ্রহের পবিত্র ও জ্যোতিৰ্ম্মষ রূপ দেখিয়া তিনি ভাবে তন্ময় হইয়া প্ৰায় সংজ্ঞা শুন্য হইবার উপক্ৰম করিলেন। তাহার হৃদয়মধ্যে সহসা ধৰ্ম্মরাজ্যের এক গুঢ় দ্বার উদঘাটিত হইল। ইহার সম্যক বিবরণ তিনি কখনও কাহার নিকট প্রকাশ করেন নাই। শুধু বলিয়াছিলেন যে স্বয়ং অমরনাথ তাহাকে দর্শন দিয়া কৃতাৰ্থ করিয়াছিলেন এবং মৃত্যুঞ্জয় শিবের কৃপায় তিনি ইচ্ছামৃত্যু বরলাভ করিয়াছিলেন। তাহার হৃদয় যে, শ্ৰীভগবানের পাদপদ্ম স্পর্শ করিয়াছিল। ইহাতে আর কোন সন্দেহ নাই, কারণ আধঘণ্টা পরে নদীর ধারে একখানি পাথরের উপর বসিযা পূৰ্ব্বোক্ত সহৃদয় নাগাসন্ন্যাসী ও নিবেদিতার সহিত জলযোগ করিতে করিতে তিনি বলিয়াছিলেন“আজি কি আনন্দই লাভ করিষাছি ! এই তুষার-লিঙ্গরূপী শিবমূৰ্ত্তি ভগবানের সাক্ষাৎ স্বরূপ। এখানে চোর নাই, ব্যবসাদার নাই, আছে শুধু নিরবচ্ছিন্ন পূজার ভাব। আর কোন তীর্থক্ষেত্রেই এত আনন্দ পাই নাই ।” অন্যান্য শিষ্য ও গুরুভ্ৰাতাদিগকেও তিনি পরে প্রায়ই এই চিত্ত-বিহবলকারী দর্শনের কথা বলিতেন। উহা যেন তাহাকে একেবারে আপনি ঘুর্ণবর্তের মধ্যে টানিয়া লইবে বলিয়া বোধ হইয়াছিল। এই অনুভূতির প্রভাব তাহার দুর্বল শরীরের উপর এতটা অবসান্নতা আনিয়াছিল যে তিনি পরে বলিতেন পাছে তিনি গুহ্যামধ্যে মুচ্চিত হইয়া পড়েন। এইজন্য অতি সাবধানে আপনাকে সংযত করিয়া রাখিতে হইয়াছিল। বাস্তবিক তঁাহার দৈহিক ক্লাস্তি t
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।