স্বামী বিবেকানন্দ । এরূপ অধিক হইয়াছিল যে, জনৈক ডাক্তার পরে বলিয়াছিলেন। যে “ঐ দিন তাহার হৃৎপিণ্ডের গতি একেবারে রুদ্ধ হইবার সম্ভাবনা হইয়াছিল, কিন্তু তাহা না হইয়া উহার আয়তনটী চিরদিনের মত বাডিয়া গিয়াছে।” দেবতার সাক্ষাৎকার তঁাহাব অন্তঃকরণের উপরও এতদূর প্রভাব বিস্তাব করিষাছিল যে কয়েকদিন পৰ্য্যন্ত তঁহার মুখে শিব ছাড়া অন্য প্ৰসঙ্গই ছিল না। আনন্তের ধ্যানমগ্ন মহাযোগী শিব চিরদিনই তাহার আদর্শ উপাস্য-অমরনাথে সেই ভাবের চরম অনুভূতি। অতঃপর অমরনাথ হইতে র্তাহাবা নীচে নামিতে লাগিলেন। ৮ই আগষ্ট পঙ্গলগাম হইযা শ্ৰীনগরে পৌঁছিলেন ও ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্য্যন্ত সেখানে রহিলেন। পহেলগামেই অন্যান্য শিষ্যগণের সহিত সাক্ষাৎ হইল। শ্ৰীনগরে স্বামিজী পূৰ্ববৎ নৌকায় বাস কবিতে লাগিলেন। মধ্যে মধ্যে নিৰ্জনতার আকাঙ্ক্ষায় শিষুদিগের নৌকার নিকট হইতে নিজের নৌকা সরাইযা অনেক দূরে লইযা যাইতেন। কারণ এই কালে তাহার ধ্যানের গভীরতা ও অন্তলীন অবস্থা ক্ৰমশঃ বৃদ্ধি পাইতেছিল। মাঝে মাঝে যখন শিষ্যদিগের নিকট ফিরিতেন তখন আবায় তাহাদিগকে উপদেশাদি দিতেন ও নানাপ্রকার সয়ন্স আলাপে তাহাদিগের আনন্দ বৰ্দ্ধন করিতেন। একদিন বলিলেন, স্বদেশ এবং উহার ধৰ্ম্মসমূহ সম্বন্ধে তাহার ধারণা সমন্বয়মূলক, তবে তাহার নিজের বিশেষ আকাঙ্ক্ষা এইটুকু যে হিন্দুধৰ্ম্ম নিক্রিয় না হইযা সক্রিয় হউক এবং ছুৎমার্গকে পরিহার b፦ዳክም
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।