সন্ধানেই ফিরিতেছে-জানে না, যে “দুঃখভার, এ ভ মন্দিব তাহার প্ৰেমভূমি চিতা মাঝে” দুঃখও তাঁহারই দীর্ম, "ঠাকাকে ছাড়িষ্যা তাহাব কোন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নাই। তাই স্বামিজী তঁহাকে বলিতেছেন-“মৃত্যু তুমি, রোগ, মহামারী বিষাকৃন্ত ভবি বিতবিছ জনে জনে।” আব্ব সুখ-মৃগতৃষ্ণিকায় লুব্ধ, দুঃখ-ভীত বঙ্গীল যুবকগণকে জীবনের কঠোর কৰ্ত্তব্যে আহবান কবিয বলিতেছেন“ভাঙ্গ বীণা, প্ৰেমসুধা পান, মহা আকর্ষণ, দুব কব নারী মায়া। আগুযান, সিন্ধুবোলে গান, অশ্রুজলপান, প্ৰাণপণ যাক কাষ।” এই সমধ্যে এবং পাবেও অতান্ত পীড়া বা শারীবিক যন্ত্রণার সময। তিনি পুনঃপুনঃ বলিতেন। তিনিই ইন্দ্ৰিয়, তিনিই কষ্ট, আবাব তিনিই কষ্ট দিচ্ছেন। কালী, কালী, কালী’ । বলিতেন “ভষ ত্যাগ কব । কিসেব ভয় ! ভিক্ষা নয়-জোর ক’রে নিতে হবে। যাবা প্ৰকৃত মার ভক্ত তারা পাথরের মত শক্ত, সিংহেব মত নিৰ্ভীক। বিস্তুসংসাব যদি বেণু বেণু হ’য়ে পায়েব তলায় চুর্ণ হ’যে পড়ে, তবুও ভক্ত টলেন। মাকে তোমার কথা শুনতে বাধ্য কর। তাৰ কাছে খোসামোদ কি ? জবরদস্তী। তিনি সব কৰ্ত্তে পারেন। নোড়া নুড়ির ভেতর থেকেও মহাবীৰ্য্যবানের সৃষ্টি কৰ্ত্তে পাবেন।” “যে হৃদযে ভয় নেই, সেইখানেই তিনি আছেন। যেখানে ত্যাগ, আত্মবিস্মৃতি, মরণকে আলিঙ্গনের জন্য প্ৰাণপণ চেষ্টাসেইখানেই “মা” ” ৩০শে অক্টোবর স্বামিজী আবার সহসা অদৃশ্য হইলেন।
- @