অমরনাথ ও ক্ষীরভাব উত্তরভারতের অন্যান্য স্থান দর্শন করিবার জন্য এখানে স্বামী । সারদানন্দের জন্য অপেক্ষা কবিতে লাগিলেন। স্বামী সারদানন্দ স্বামিজীব সহিত কাশ্মীরে মিলিত হাটবাব জন্য ২৭শে সেপ্টেম্বর বেলুড় মঠ হইতে বহির্গত হইয়াছিলেন। এই সমযে স্বামিজী এক বিপদে পড়িয়াছিলেন। একজন মুসলমান ফকিরেব কোন চেলা মাঝে মাঝে র্তাহার নিকট আসিত, একদিন তাহার ভযানক জ্বর ও শিরোবেদন হই যাছে শুনিয়া স্বামিজী। দযাদ্র হইলা তাহার মাথায আঙ্গুল দিয়া কয়েক মিনিট টিপিয ধরিলেন, তাহাতে সে ব্যক্তির অসুখ সারিয়া যায়। লোকটি ইহাতে আশ্চৰ্য্য বোধ করিযী। সেই হইতে ঘন ঘন তাহার নিকট আসিতে আরম্ভ করে ও তাতার প্রতি অনুরক্ত হয়। ইহাতে তাহার গুৰু সেই মুসলমান-ফকিব, চেলা বেহাত হইয়া যায ভাবিয়া স্বামিজী সম্বন্ধে অনেক কটুক্তি করেন এবং শিষ্যকে স্বামিজীর নিকট যাইতে নিষেধ কবেন । কিন্তু তাহাতে কোন ফল হয় না। এতদর্শনে ক্রুদ্ধ হইষ ফকির স্বামিজীকে নানাপ্রকার গালি দেন ও নিজের ক্ষমতা দেখাইবার জন্য এই বলিয়া ভাষা প্ৰদৰ্শন করেন যে, কাশ্মীর ত্যাগ করিবার পূর্বেই স্বামিজী বিষম বৃমন ও শিরোঘুর্ণন রোগে আক্রান্ত হইবেন। প্রকৃতই তন্ত্ররূপ হইল। স্বামিজী ইহাতে বড় বিরক্ত হইলেনফকিরের উপর নহে, কিন্তু নিজেব উপর। বলিলেন ‘শ্ৰীরামকৃষ্ণ আর আমার কি কল্পেন ? বেদান্ত প্রচােব আর অদ্বৈতানুভূতি ক’রেও যদি একটা বাজীওয়ালার কবল থেকে নিজেকে রক্ষে কৰ্ত্তে পারলুম না। তবে আর কি হ’ল ? কিন্তু স্বামিজী বোধ হয়
- 為