সিংহলে । বসিয়া থাকিতে হইল। অনেকক্ষণ পরে অতিকষ্ট্রে এক দূর গ্রাম হইতে একটি গো-যান সংগ্ৰহ করিয়া তাহাতে সেভিয়র পত্নীয় স্থান করা হইল ও মাল পত্র চালান গেল । স্বামিজী ও পৃষ্ঠাহীর সঙ্গীরা কয়েক মাইল ছাটিয়া চলিলেন। তারপর আবার গরুর গাড়ীর যোগাড় হইল এবং রাত্রিটা তাহাতেই কাটাইয়া কানাহাড়ি ও তিনপানি হইয়। ৮ ঘণ্টা পরে সকলে ধীরে ধীরে অনুরাধাপুরে । পৌছাইলেন। অনুরাধাপুর পৃথিবীর মধ্যে একটি অতি প্ৰাচীন এবং বৃহত্তম ভূপ্রোথিত নগর। ইহার মধ্যে এত অসংখ্য মন্দির ও মঠের ধ্বংসাবশেষ আছে যে তাত দেখিলে মনে হয় দুই হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে যখন ইহার অবস্থা ভাল ছিল তখন পৃথিবীর মধ্যে অতি অল্প সহরই সমৃদ্ধিতে ইহার সমকক্ষ ছিল। এখানে বৌদ্ধযুগের অনেক প্রাচীন কীৰ্ত্তি এখনও বিদ্যমান-যথা বোধগয়াস্থিত মহাবোধিতারুর শাখাসঞ্জাত একটি পবিত্র অশ্বখবৃক্ষ (জনরব এইরূপ যে ২৪৫ খৃষ্ট পূৰ্ব্বাব্দে ইহা রোপিত হয়), সেই সুদূর অতীত যুগের স্থাপত্য বিদ্যার প্রকৃষ্ট নিদর্শন স্বরূপ এক প্রাচীন সরোবর এবং ‘দাগোবা’ নামে বিখ্যাত কতকগুলি প্রাচীন স্তুপ। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ অনুসন্ধান ফলে যে সকল বিষয় আবিষ্কায় করিয়াছেন, তাহাতে র্তাহারা অনুমান করেন যে তামিলগণ কর্তৃক সিংহল আক্রমণের পর হইতে এই সকল দাগোবার মধ্যে পূৰ্ব্বকালীন বৌদ্ধমন্দির নিহিত রাশি রাশি মণি মুক্ত হীরা জহরৎ গুপ্তভাবে রক্ষিত রহিয়াছে। স্বামিজী এবং তঁহার সহচরীগণের অবস্থানের জন্য যে স্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল তাহার সন্নিকটে was
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।