কৰ্ম্মব্ৰতের দীক্ষাদান । ভুল ভ্ৰান্তি হয় তা’কে আর্ষপ্ৰয়োগ ব’লে ধরে নিতে পারা যায়।” শুধু সংস্কৃত বলিয়া নহে, স্বামিজী ইংরাজীতেও যে সকল বক্তৃতা দিতেন বা যাহা লিখিতেন, বলা বা লেখা শেষ হইলে আর তাহদের দিকে ফিরিয়া চাহিতেন না। যাহাদের কাছে খসড়া থাকিত তাহদের বলিতেন ‘তোমরা যেমন খুনী বদলে দিও। আমাকে আর বিরক্ত ক’রো না। আমি আর ওসব revise কৰ্ত্তে পার্বে না৷ ” যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত তাহার ভাব ঠিক থাকিত ততক্ষণ পৰ্যন্ত ভাষার পরিবর্তনে তঁহার কোন আপত্তি ছিল না। কবিতা সম্বন্ধে তিনি একবার বলিয়াছিলেন। “দেখ, কবিতার পদ মিলানো যেন ছোট ছেলের lisping (আধ আধা কথার মত)। যেন নাকি সুর ভাজা (sings.org) -ideas poetically express scar Geicer, form অত মারামারি কেন ?** উপরোক্ত শিষ্যকে তিনি প্ৰায় বলিতেন—“দেখ, যা লিখবি তাতে যেন Sentimentalism (ভাবপ্রবণতা) মোটে না থাকে। এদেশের লোকে যা লেখে তাতেই sentiment এর ছড়াছড়ি। ফলে দেশটা মেয়েলীভাবে ( effeminacy) বোঝাই হয়ে উঠেছে। শক্তি চাই রে । শক্তি চাই ! কাজে কৰ্ম্মে লেখায় একটা masculine (পৌরুষ ) ভাব থাকা চাই। আজকালকার দিনে ও জিনিষটার বড় অভাব। তাই আমি নিজে বাংলায় এক নূতন ধরণে জীবন্ত ভাবে লিখবো মনে কচ্ছি।” র্যাহারা স্বামিজীর “বৰ্ত্তমান ভারত, “ভাববার কথা”, e আধুনিক বড় বড় সাহিত্যিকদিগের মতও এইরূপ । Gdò Nà RS
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।