স্বামিজী ও নাগমহাশয় । নাগ মঃ । যারা যত্ন কক্ছেন, তাদেরই কল্যাণ-বুঝুন। আর নাই বুঝুন। সেবার কমতি হ’লে দেহ রাখা ভার হবে। স্বামিজী। নাগমহাশয়! কি যে কবৃছি, কিনা করছি - কিছু বুঝতে পাবৃছিনে। এক এক সময়ে এক এক দিকে মহা ক্টোক আসে, সেই মত কাৰ্য্য করে যাচ্ছি, এতে ভাল হ’চ্ছে কি মন্দ হ’চ্ছে কিছু বুঝতে পাচ্ছিনা। নাগ মঃ । ঠাকুর যে বলেছিলেন “চাবী দেওয়া রইল।” তাই এখন বুঝতে দিচ্ছেন না। বুঝামাত্রই লীলা ফুরায়ে যাবে । স্বামিজী একদৃষ্টি কি ভাবিতে লাগিলেন। কিঞ্চিৎ পরে স্বামী প্ৰেমানন্দে ঠাকুরের প্রসাদ লইয়া, আসিলেন এবং নাগমহাশয় ও অন্যান্য সকলকে দিলেন। 'মাৰ্থমহাশয় দুই হন্তে প্ৰসাদ মস্তকে ধারণ করিযী। “জয় রামকৃষ্ণ”। বলিয়া মহাহৰ্ষ भूऊ) করিতে লাগিলেন। সকলে দেখিয়া অবাক ] প্ৰসাদ পাইয়া সকলে বাগানে পাইচারী করিতে লাগিলেন। ইতিমধ্যে স্বামিজী একখানি কোদাল লইয়া পুকুরের একাধারে আস্তে আস্তে মাটি কাটিতে ছিলেন। তদর্শনে নাগমহাশয় তাহার হস্ত ধারণপূর্বক বলিলেন “আমরা থাকিতে আপনি ও কি করেন ? অগত্যা স্বামিজী কোদাল ফেলিয়া মাঠে বেড়াইয়া বেড়াইয়া গল্প করিতে লাগিলেন। নাগমহাশয় সম্বন্ধে বলিলেন “ঠাকুরের দেহ যাবার পর একদিন শুনলুম, নাগমহাশয় চার পাঁচদিন উপোস ক’রে তঁর কলকাতার খোলার ঘরে পড়ে আছেন। আমি, হরিদ্ভাই ও আর কে একজন মিলে তা
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।