পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । নাগমহাশয়ের কুটীরে গিয়ে হাজির ; দেখেই লেপমুড়ি ছেড়ে উঠলেন। আমি বল্লুম, আপনার এখানে আজ ভিক্ষে পেতে হবে । আমনি নাগমহাশয় বাজার থেকে চাল, হঁাড়ী, কাঠ প্রভৃতি এনে রাঁধতে সুরু কল্লেন। আমরা মনে করেছিলুমআমরাও খাবো, নাগমহাশয়কেও খাওয়াবো। রান্না বান্না ক’রে ত আমাদের দেওয়া হল ; আমরা নাগমহাশয়ের জন্য সব রেখে দিয়ে আহারে বস্লুম। আহারের পর যেই ওঁকে খেতে অনুরোধ করা, অমনি ভাতের হাঁড়ি আছড়ে ভেঙ্গে ফেলে কপালে আঘাত করে বলতে লাগলেন “যে দেহে ভগবান লাভ হলোনা, সে দেহকে আবার আহার দেবো ?’ আমরা ত দেখেই অবাকৃ! অনেক ক’রে, পরে কিছু খাইয়ে তবে আমরা ফিরে अनि ।।” সন্ধ্যার সময় নাগমহাশয় স্বামিজীকে প্ৰণাম করিয়া বিদায় লাইলেন। এই চিত্রে দুইটী বিষয় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এক নাগমহাশয়ের অপূৰ্ব্ব দীনতা ও স্বামিজীর প্রতি অগাধ ভক্তি বিশ্বাস ; আর এক, নাগমহাশয়ের প্রতি স্বামিজীর গভীর শ্রদ্ধা। উভয়েরই উভয়ের সম্বন্ধে অতি উচ্চধারণা ছিল। যে বিশ্ববিজয়ী পুরুষ জ্ঞান ও ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আপনার মতকে চিরদিন অকাট্য বলিয়া ধারণা করিয়া আসিয়াছিলেন, অটল আত্মশক্তিতে অবস্থিত হইয়া যিনি সত্য ব্যতীত কাহারও নিকট কখনও অবনতমস্তক হন নাই, এবং দেশোন্নিতিকল্পে আপনার জীবনব্যাপী আয়োজনকে একদিনও যাহার উন্মাৰ্গগমন বলিয়া বিন্দুমাত্র সন্দেহ হয়