স্বামী বিবেকানন্দ । কাৰ্য্যকারিতা ( Practicality) যোগ করিতে হইবে। এই হয়ত গভীর ধ্যান ধারণার জন্য প্ৰস্তুত হইতে হইবে, আবার পরমুহূৰ্ত্তেই মঠের মাটি কোদলাইবার জন্য প্ৰস্তুত থাকিতে হইবে। এই হয়ত শাস্ত্রের জটিল সমস্যাসমূহের সমাধান করিতে হইল, আবার পরীক্ষণেই এই জমীর ফল ফুলুৱী, শাকশৰ্জী মাথায় করিয়া বাজারে বেচিয়া আসিতে হইল। দরকার হইলে খুব সামান্য কাজ-এমন কি পাইখানা সাফ পৰ্য্যন্ত করিবার জন্য প্ৰস্তুত থাকিতে হইবে । সৰ্ব্বদা মনে রাখিবে মঠের উদ্দেশ্য-আদৰ্শ মানুষ প্ৰস্তুত করা। প্ৰাচীন ঋষিগণ এখন নাই।-গুহায় বসিযা ধ্যান করিতে করিতে দেহপত করিবার সময়ও এখন চলিখা গিয়াছে। তোমাদিগকে এই নবযুগের ঋষি হইবার চেষ্টা করিতে হইবে। নিজের কল্যাণ $ত্যাগ করিয়া পরের জন্য অমানবিদনে আত্মপ্ৰাণ বলি দিতে হইবে। সেই প্ৰকৃত মানুষ যে স্বয়ং শক্তির মত শক্তিশালী অথচ প্ৰাণটা রমণীর প্রাণের মত কোমল, পূর্ণমাত্রায় স্বাধীনতাপ্রিয়, অথচ এরূপ আজ্ঞাবহ যে অধ্যাক্ষের আদেশে নিশ্চিত মৃত্যুর সম্মুখীন হইতেও অকম্পিত হৃদয।” এদেশের লোক নিজ নিৰ্ম্ম মত প্ৰতিষ্ঠার জন্য এরূপ ব্যগ্র এবং সামান্য মতের বিভিন্নতার জন্য এত সহজে এক সম্প্রদাষ পরিত্যাগ •করিয়া আর এক সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করে যে এখানে কোন সম্প্রদায়ই অধিক দিন স্থায়ী হয় না, বা স্থায়ী হইলেও তাহার মূল লক্ষ্য ঠিক রাখিতে পারে না। স্বামিজী সেই জন্য এই নবপ্রতিষ্ঠিত সন্ন্যাসীসঙ্ঘকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন,-“এখানে অবাধ্য సెతి
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।