স্বামী বিবেকানন্দ । মেড়া হইতে ১৮ই এপ্রিল (১৯০১) তারিখে মিঃ ম্যাকলাউড়কে তিনি যে পত্র লেখেন নিয়ে তাহ উদ্ধৃত হইল। পাঠকগণ তাহা পাঠ করিলে স্বামিজীর এই সময়কার অন্তরের ভাব বেশ পরিস্কার জানিতে পারিবেন। “কৰ্ম্ম করা সব সময়ে কঠিন। প্রার্থনা করা যেন চিরদিনের জন্য আমার কাজ করা ঘুচে যায-আব আমার সব মন প্ৰাণ যেন মায়ের চরণে মিশে যায-ষ্ঠার কাৰ্য্য তিনিই জানেন। আমি ভাল আছি-মানসিক খুবই ভাল। শরীরের চাইতে মনের শান্তিটাই বেশী দেখতে পাচ্ছি। লড়াযে, হাব জিত সবই হলো, এখন তল্পি-তাপ্পা গুটিযে সেই মহান মুক্তিদাতার অপেক্ষায় ব’সে আছি। ‘অব শিব পার কব মেরা নেইয়া-হে শিব, এখন আমায় তরী পারে নিযে চল । যাই হোল্ক এখন আমি সেই আগেকার বালক-যে দক্ষিণেশ্বরের পঞ্চবটীতে ঠাকুর শ্ৰীরামকৃষ্ণের অপূৰ্ব্ব উপদেশ শুনতে শুনতে তন্ময় হ’য়ে যেতে-কীটেই হ’চ্ছে আমার আসল প্রকৃতি -কৰ্ম্ম, পরোপকার প্রভৃতি যা কিছু করেছি। সবই বহিরাবরণ Sjost এখন আবার তঁর ডাক শুনতে পাচ্ছি—সেই চিরপরিচিত মধুত্ব কণ্ঠস্বর—যা” স্মরণ হ’লেও মন আনন্দে নাচিয়া উঠেশেকল সব খস্চে-ভালবাসার বন্ধন টুটে যাচ্চে-কাৰ্য্যে অরুচি হু’য়েছে।--জীবনের মোহ কেটেছে-তার স্থলে বাজছে শুধু প্রভুর আহ্বানধ্বনি—যাই প্ৰভু যাই। ঐ তিনি বলচেন-“ষা হবার তা’ হয়ে গেছে—তুই এখন চলে আয়।”—যাই প্ৰভু যাই। as a
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।