পারি প্রদর্শনী ও ইউরোপ পৰ্যটন। দ্বিতীয় প্ৰস্তাব সম্বন্ধে তাহার বক্তব্য এই যে, গীতা মাছাভারতের পূৰ্ব্বে রচিত । অন্ততঃ তাহার সমসাময়িক, পরে রচিত। কখনই নহে। গীতায্য সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয়ের কথা আছে। গীতা ও মহাভারতের ভাষা ও ভাবের মধ্যে বিশেষ সোসাদৃশ্য দেখা যায়। সুতবাং গীতা শারে রচিত হইষাছিল কি করিয়া বলা চলে। আল যদিই কেহ মনে কবেন যে উহা পরে অর্থাৎ বৌদ্ধযুগে বাচিত হইযাছে। তবে সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয প্ৰস্তাবে বুদ্ধ বা বৌদ্ধধৰ্ম্মেব নামোল্লেখ নাই কেন ? সুতরাং বুদ্ধেব অনেক শতাব্দী পূৰ্ব্বে যে কৃষ্ণেব আবির্ভাব কষ্টসছিল তা হাতে আর সন্দেহ নাই। কৃষ্ণাৰ্চনাও বৌদ্ধপূজার বহুপূৰ্ব্ব হইতেই এদেশে প্ৰচলিত ছিল। তাবাপৰ ভাবতীর্ষ সভ্যতার উপর গ্ৰীক-জাতির প্রভাব সম্বন্ধে ইউৰোপীযগণ দ্রুতগতি যে সকল সুবিধাজনক কল্পনার আশ্রয় গ্ৰহণ করিষছেন। তৎসম্বন্ধে স্বামিজী তীব্ৰ প্ৰতিবাদ করিলেন। বলিলেন, আজকাল ইউরোপী পণ্ডিতবা ভাবতের যাহা কিছু ভাল জিনিষ দেখিতেছেন তাহাই গ্রীকদের নিকট হইতে প্ৰাপ্ত বালিযা অনুমান করিয বসিতেছেন। ইহার ফলে এখন ভারতের সাহিত্য, জ্যোতিষ, গণিত, শিল্প সবই গ্ৰীকৃদিগের নিকট ঋণী বলিয়া সকলের ধারণা হইযাছে। কিন্তু ইহা নিতান্ত পণ্ডিতগণের কাপোল কল্পিত ৷ হইতে পারে হয়ত হিন্দু জ্যোতিষের কতকগুলি পরিভাষার সহিত যাবনিক পরিভাষার সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। কিন্তু ঐ সকল পরিভাষার উৎপত্তি নির্ণয় করিতে যাইয়া সহজলভ্য সংস্কৃত ধাতু প্ৰত্যয়ের সাহায্য না লইয়া কষ্ট
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।