দক্ষিণ ভারতে । অতঃপর স্বামিজীয় ইচ্ছানুসারে সিংহল হইতে ভারতবর্ষ ঘাইবার ব্যবস্থা হইতে লাগিল। জাফনা হইতে জলপথে ভারতবর্ষ পঞ্চাশ মাইল দূরবত্তী। একখানি দেশী জাহাজ ভাড়া করিয়া ২৫শে জানুয়ারী রাত্ৰি বারোটার সময স্বামিজী ও তঁহার সঙ্গিগণ রওনা হইলেন এবং বায়ু অনুকূল থাকাতে বড়ই আনন্দের সহিত সকলে ভারতাভিমুখে যাইতে লাগিলেন। পরদিন বেল দ্বিপ্রহরের পূব্বেই জাহাজ পাম্বানে পৌঁছিল। পাম্বান ভারতবর্ষের নিকটবৰ্ত্তী একটী ক্ষুদ্র দ্বীপ। এখান হইতে রামনাদের রাজার অনুরোধ রক্ষার্থ রামেশ্বর যাইবার কথা ছিল। কিন্তু স্বয়ং রামনাদাধিপতিই সদলবলে স্বামিজীর অভ্যর্থনাৰ্থ এখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অপরাহ্নে ষ্টিমার হইতে স্বামিজীকে নিজ রাজতরণীতে লইয়া গেলেন এবং পাত্ৰ মিত্ৰ সভাসদগণের সহিত সাষ্টাঙ্গে ভূমিষ্ট হইয়া তঁহকে প্ৰণাম ও অভ্যর্থনা করিলেন। স্বামিজী প্লাজার হাত ধরিয়া উঠাইলেন ও আশীৰ্বাচন উচ্চারণ করিলেন। সন্ন্যাসী গুরু ও রাজশিষ্যের সে মিলন অতি প্ৰাণস্পশী দৃশ্য স্বজন করিল। স্বামিজীর পাশ্চাত্যদেশে গমনে যাহার সাহায্য করিয়াছিলেন। রামনদাধিপতি তাহাদিগের অন্যতম। সুতরাং এক্ষণে ভারতে পুনঃ পদার্পণের প্রথম সুত্রপ্তাতেই রামনাদরাজের সহিত সাক্ষাতে তিনি অতিশয় সুখী হইলেন। নৌকা হইতে তীরে উত্তীর্ণ w86
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।