মায়াবর্তী দর্শন । স্বামীর ঘোড়া ছুটিয়া পালাইয়া যাওয়াতে বিরজানন্দ নিজ অশ্ব তাহাকে দিয়া স্বয়ং পদব্ৰজে যাইতেছিলেন। দাওঁীয়ওলা দিগের সহিত একসঙ্গে যাইবার জন্য তঁহাকে অধিকাংশ পথ ছুটিয়া যাইতে হইল। তারপর সৌরীনল্লায় পৌছিযা সেদিনকার মত সকলে বিশ্রাম কবিলেন। গোবিন্দ সাহ ও সদানন্দ স্বামী পূৰ্বরাত্ৰেই সকলের আগে এখানে আসিয়াছিলেন। এখানে বেশ গনগনে আগুন ঝকঝকে ঘর দোয় এবং আহারাদির প্রশস্ত আযোজন দেখিম। স্বামিৰ্জী মহাশ্বাসী হইলেন এবং গতরাত্রের প্ৰসঙ্গ লইয। নানা আমোদ করিতে লাগিলেন । পরদিন ( ১৯০১ সালের ২রা জানুয়ারী ) বরফ গলিয়া গেল । পণে ‘দেবীপুত্র” ও “ধুনাঘাট” এই দুই জায়গায় থামিবার কথা । প্রাস ২১ মাইল পথ। স্বামিৰ্জী খানিক পথ হাঁটিয়া চলিলেন, কিন্তু বাস্ত্ৰষ্ট ক্লান্ত হইযা হঁপাইতে লাগিলেন। তখন এক হাতে একটি লাঠি লইয়া ও আর এক হাত বিরজানন্দ স্বামীর কাধে রাখিয়া ধীরে ধীরে যাইতে লাগিলেন। যাইতে যাইতে নিজের শরীর দেখাইয়া বলিলেন “দেখ, কি দুৰ্বল হ’যে পড়েছি। এক সময়ে এই পাহাড়ে রোজ ২০২৫ মাইল হেটেছি। আর আজ এইটুকু আসতেই প্ৰাণ বেরিয়ে যাচ্ছে। আর বেশী দিন নয!” সকলেই তঁাহার শরীরের অবস্থা দর্শনে বিষঃ হইলেন। মনে হইতে লাগিল। এই মূহূৰ্ত্তেই তার প্রাণত্যাগ হইতে পারে। পরদিন সকলে মায়াবতী আসিয়া পৌঁছিলেন। দূর হইতে • আশ্রমের দৃশ্য দেখিতে পাইয়া স্বামিজী অতিশয় আনন্দিত হইলেন এবং তাড়াতাড়ি একটা ঘোড়ায় উঠিয়া জোরে
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।