মায়াবতী দর্শন। বার জন্য ব্যস্ত কইয়া পড়িলেন। কিন্তু তখন অনেক ভাড়া দিয়াও কুলি যোগাড় বড় শক্ত ব্যাপার। একদিন মনটা বেশ প্ৰফুল্ল আছে--তিনি শিষ্যদিগকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন। যদি কুলি না পাওয়া যায়। তবে তঁহারা কি কবিবেন ? বিরজানন্দ সম্মুখে আসিয়া বলিলেন- ‘স্বামিজী ! কুছ পরোয়া নেই, তা হ’লে আমরা নিজেরাই আপনাকে ব’য়ে নিয়ে যাবে।” স্বামিজী হো হো করিয হাসিয়া উঠিলেন। বলিলেন ‘ওঃ বুঝেছি। আমাকে বুঝি পড়ে ফেলবার মতলব আঁটা হচ্ছে!” অবশেষে অন্য পথে টনকপুর দিয়া পিলিভিত বাওযা সিদ্ধান্ত হইল। সদানন্দ স্বামীকে ডাকিয়া স্বামিজী বলিলেন “দেখ , এবার সব ভার বিরাজনন্দের ওপর। ওর মাথাটা খুব ঠাণ্ড আর বহুবাড়ম্বর নেই। এবার তুইও কিছু করবি নি, আমি কিছু করবো না বুঝলি ?” এদিকে ক্রমশঃ বেগতিকের লক্ষণ দেখিয়া স্বরূপানন্দ স্বামী নিজেই চা-বাগানে কুলি সংগ্ৰহ করিতে গেলেন। এ দিকে আন এক মুন্ধিল হইল। দু’তিনদিন পূৰ্ব্বে গ্রাম হইতে কুলি সংগ্ৰহ করিবার জন্য যাঙ্গাদিগকে পাঠান হইয়াছিল। তাহারাও বেল দ্বিপ্রহরের সময। যতগুলি কুলি আবশ্যক লইয়া উপস্থিত হইল। তাহাদিগের সহিত মায়াবতী ত্যাগ করিয়া কতকাদূর অগ্রসর হইতেই সকলে দেখেন সম্মুখে স্বরূপানন্দ স্বামী কতকগুলি কুলি লইযা আসিতেছেন। তখন চা-বাগানের লোকদের বেশ মোটা বখশিশ, দিয়া বিদায় করা হইল। 轉 মায়াবতী হইতে পিলিভিত পৰ্য্যন্তু সায়াপথ স্বামিজীর মেজাজ বেশ সুন্দর ছিল। প্ৰথম বান্ত্রি চম্পাওয়াতের ডাকবাংলায় 》g@《
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৯৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।