পূর্ববঙ্গে ও আসামে। মায়াবতী হইতে ফিরিযা স্বামিজী দেড়মাস মঠে অবস্থান করিলেন। ইতিমধ্যে কযেকজন নূতন ব্ৰহ্মচারী মঠে যোগদান কবিয়াছিলেন। স্বামিজী তাহাদিগকে দেখিযা ও মঠে স্নীতিমত দৈহিক ব্যাযিাম-চৰ্চা ও ধ্যান ভজন, শাস্ত্র ব্যাখ্যা প্ৰভৃতি হইতেছে দেখিষা সন্তোষ লাভ কবিলেন। কিন্তু তঁহায় শরীবেব অবস্থা বড় ভাল ছিল না। সামান্য একটু পড়াশুনা, চিঠি পত্রেব জবাদ দেওয়া এবং মঠে ব্ৰহ্মচারিগণের শিক্ষার তত্ত্বাবধান-ইহা ব্যতীত কোন কাঠন পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপারে। লিপ্ত হইতে পারিতেন না। স্বাস্থ্যলাভেব জন্য পুনরায় বায়ু পবিবর্তনের প্রযোজন অনুভব করিতে লাগিলেন । এমন সময় ঢাকাবাসীরা তঁহাকে পূর্ববঙ্গে লইয৷ যাইবার জন্য পুনঃ পুনঃ আগ্ৰহ প্ৰকাশ কবিতে লাগিলেন। সুতরাং স্বান্ত্রিী শেষে ঢাকা যাওয়াই স্থির করিলেন। দী প্ৰস্তাবে সন্মত হইবার আরও একটু কারণ এই ছিল যে, স্বামিজীর জননীর বহুদিন হইতে পূৰ্ব্ববঙ্গে তীৰ্থসমূহ দৰ্শন করিবাব বাসনা ছিল। এই উপলক্ষে তাহাও পূর্ণ হইবার সুযোগ উপস্থিত হইল। ১৯০১ খৃষ্টাব্দের ১৮ই মার্চ স্বামিজী কয়েকজন সন্ন্যাসী-শিষ্য সঙ্গে লইয়া ঢাকা যাত্রা করিলেন। পরদিন ঈমার গোয়ালম হইতে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছিবামাত্র ঢাকা অভ্যর্থনাসমিতির কতিপয় ভদ্রলোক তঁাহাকে মহা সমাদরে অভ্যর্থনা করিলেন। e.
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।