পূর্ববঙ্গে ও আসামে। “হঙ্কর দেবের নাম গুলালুম। তিনি ও অঞ্চলে অবতার বলে পূজিত হন। শুনলুম তার সম্প্রদাষ খুব বিস্তৃত ; ঈ ‘হঙ্কর” দেব। আর শঙ্করাচাৰ্য্য একই লোক কিনা বুঝিতে পারিলাম না। তবে লোকগুলিকে দেখিয়া বোধ হইল ত্যাগী-সম্ভবতঃ তান্ত্রিক সন্ন্যাসী কিংবা শঙ্করাচাৰ্য্যেরই সম্প্রদায় বিশেষ। ঢাকায় কিন্তু বৈষ্ণবের আধিক্য।” মোটের উপর কিন্তু পূৰ্ববঙ্গের নদনদীপূৰ্ণ শস্যশ্যামলাঙ্গ ভূভাগ ও সবল সুস্থদেহ নরনারী দর্শনে স্বামিজীর ভালই লাগিয়াছিল। একদিন শরৎবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন “মহাশয়, আমাদের বাঙ্গালদেশে আপনার কেমন লাগিল।” তদুত্তরে স্বামিজী বলিলেন-“দেশ কিছু মন্দ নয় ; পাহাড়ের দিকে দৃশ্য অতি মনোহর। ব্ৰহ্মপুত্র walleyার শোভা অতুলনীয়। আমাদের এদিকের চেয়ে লোকগুলো কিছু মজবুত ও কৰ্ম্মঠ। তার কারণ বোধ হয় মাছ মাংসটা খুব খায়। যা করে খুব গোয়ে কবে। খাওয়া দাওয়াতে খুব তেল চর্বি দেয় ; ওটা ভাল নয়। তেল চৰ্বি বেশী খেলে শরীরে মেদ জন্মে।” তিনি বলিতেন পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে আরও দৃঢ়তর ভ্ৰাতৃত্ববন্ধন আবশ্যক। ঢাকায় থাকিতে স্বামিজী একদিন নাগমহাশয়ের জন্মভূমি দেওভোগ দর্শন করিতে গিয়াছিলেন । নাগমহাশয় তখন পরলোকে । ১৮৯৯ সালের শেষভাগেই তিনি দেহরক্ষা করিয়া অমরধামে প্ৰস্থান করিয়াছিলেন। স্বামিজী স্বীয় প্রতিশ্রুতি পালনার্থ মাগমহাশয়ের ভবনে উপস্থিত হইলেন। তঁহার সাধবী স্ত্রী যথোচিত শ্ৰদ্ধাভক্তিসহকারে তঁহার সৎকার > Tak
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।