স্বামী বিবেকানন্দ । থাকেন। কক্ষে প্ৰবেশ করিবামাত্র বহুবৎসরের বহু পবিত্ৰীস্মৃতি যুগপৎ দর্শকের মনে উদিত হয়। মনে হয় প্রতি বস্তুতে আজিও সেই মহাত্মার পুণ্যস্পর্শ বিরাজ করিতেছে। প্ৰত্যুষে গাত্ৰোখান করা তাহার বরাবর অভ্যাস ছিল। স্বয়ং শষ্যাত্যাগ করিয়া তিনি আর সকলের নিদ্ৰাভঙ্গ করিতেন। এবং তপস্যাদিতে নিযুক্ত হইতে বলিতেন। তারপর গো-সেবা এবং বাগানের কাৰ্য্য পরিদর্শন করিতেন । স্বামী ব্ৰহ্মানন্দের উপর তারকারী ও ফুলের বাগানের ভার ছিল। তাহার পাশ্বেই গোচারণেব মাঠ। এই বাগানের ও মঠের সাধারণ সীমা বিভাগ লইয তিনি বালকেব। ন্যান্য স্বামী ব্ৰহ্মানন্দের সহিত কত যে মধুর কলহ করিতেন তাহা আজ পৰ্যন্ত মঠের সন্ন্যাসীদের স্মৃতিপথে জগন্ধক আছে। একের গৰু অপরের বাগানের সীমানার মধ্যে প্ৰবেশ করিলেই অনধিকার প্রবেশ বলিয়া তুমুল আপত্তি উত্থাপিত হইত। মঠে পাউরুটী প্ৰস্তুতের জন্য স্বামিজী বিবিধ প্রকারের খামির লইষা অনেক পরীক্ষা করিয়াছিলেন। কিন্তু পুনঃ পুনঃ অকৃতকাৰ্য্য হইলেও চেষ্টাত্যাগ করেন নাই। বাস্তবিক তঁহার উদ্যমশীল প্ৰকৃতি কোন অভাব নির্যাকরণের চেষ্টা হইতেই বিরত থাকিতে পারিত না। মঠে স্বাস্থ্য ভাল না থাকার প্রধান কারণ নিৰ্ম্মল ” পানীয় জলের অভাব। স্বামিজী তাহা বুধিয়া উহা দূরীকরণার্থ * বিলাতী প্ৰণালীতে “আৰ্ত্তিজন কূপ খনন করিবার জন্য যন্ত্রপাতিও আনাই যাছিলেন। কিন্তু উপযুক্ত মিস্ত্রী অভাবে উহা আর কাৰ্য্যে পরিণত হয় নাই । evo
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।