স্বামী বিবেকানন্দ । তঁহায় সেবায় নিযুক্ত ছিলেন তাহারা বলেন এ সময়ে তাহার অঙ্গপ্রত্যঙ্গসমূহ এতদূর কোমল ও শিথিল হইয়া গিয়াছিল যে একটু জোরে হাত পা টিপিলে বেদনা লাগিতা। নিদ্রা ত ছিলইনা। কিন্তু এত যন্ত্রণা ও দৌৰ্ব্বল্য সত্ত্বেও ভঁহার স্বাভাবিক প্ৰফুল্লতার হ্রাস হয় নাই। তিনি সর্বদাই জগজ্জননীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করিয়া থাকিতেন। কেহ দেখা করিতে আসিলে পুৰ্ব্ববৎ অনর্গল কথাবাৰ্ত্তা বলিতেন, সুতরাং বাহিরের লোকে বুঝিতেও পারিতেন না। তঁহার কষ্ট হইতেছে কিনা। তবে বেশী জোরে কথা বলার সামর্থ্য আর ছিল না । একদিন শিষ্য শ্ৰীযুক্ত শরৎচন্দ্ৰ আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন“স্বামিজী, কেমন আছেন ?” স্বামিজী । “আর বাবা থাকাথাকি কি ? দেহ ত দিনদিন অচল হচ্ছে । বাঙ্গালা দেশে এসে শরীর ধারণ কৰ্ত্তে হয়েছে । কাজে কাজে শরীরে রোগ লেগেই আছে। এদেশের Physique (শারীরিক গঠন ) একেবারে ভাল নয়। বেশী কাজ কৰ্ত্তে গেলেই শরীর বয়না। তবে যে কটা দিন দেহ আছে তোদের জন্য খাটবো। খাটতে খাটতে মত্বাব!” শরৎবাবু বলিলেন “আপনি এখন কিছুদিন কাজকৰ্ম্ম ছাড়িয়া স্থির হইয়া থাকুন, তাহা হইলেই শরীর সারিবে। এ দেহের झक्राग्नि छोरङन्न भअछ ।'
- স্বামিজী। “বসে থাকবার যে আছে কি বাবা। ঐ যে ঠাকুর যাকে ‘কালী” “কালী’ বলে ডাকতেন, ঠাকুরের দেহ রাখবার দু তিন দিন আগে সেইটে এই শরীরে ঢুকে গেছে ;
to 8