পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেলুড় মঠে। সেইটেই আমাকে এদিক ওদিক কাজ করিয়ে নিয়ে বেড়ায়-” স্থির হয়ে থাকৃতে দেয় না ! আপনার সুখের দিকে দেখতে দেয় না।” এই বলিয়া প্ৰথম খণ্ডে উল্লিখিত পরমহংসদেৰ কর্তৃক তঁহার মধ্যে শক্তি সঞ্চারের ঘটনাটি বিবৃত করিলেন। ১৯০১ সালের জুনমাস পৰ্যন্ত এই ভাবে কাটিল। স্বামিজীর অসুস্থতা দর্শনে গুরুভ্রাতাগণ সকলেই চঞ্চল ও উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিলেন। সকলেরই ইচ্ছা। একজন বিচক্ষণ কবিরাজের হাতে তঁাহার চিকিৎসাভার অৰ্পিত হয়। কিন্তু স্বামিজী সাধারণ কবিরাজদের দ্বারা চিকিৎসা করাইতে নিতান্ত নারাজ ছিলেন। কারণ র্তাহার ধারণা ছিল বর্তমান কালে অধিকাংশ কবিরাজই বিজ্ঞানসন্মত চিকিৎসা প্ৰণালী অবগত নহেন ‘কেবল সেকেলে পাজিপুথির দোহাই দিযে অন্ধকারে চিল ছুড়িয়া থাকেন।” কিন্তু অবশেষে স্বামী নিরঞ্জনানন্দ মহারাজেয় একান্ত নিৰ্ব্বন্ধতিশযে তঁাহাকে বাধ্য হইয়া কবিরাজ ডাকাইতে হইল। বহুবুজারের স্থবিজ্ঞ ও বহুদৰ্শী কবিরাজ শ্ৰীক্ত মহানন্দ সেনগুপ্ত মহাশয় তাহার চিকিৎসা করিতে লাগিলেন। তিনি আসিয়া প্ৰথমেই জলপান ও লবণ-সংযুক্ত ব্যঞ্জনের ব্যবহার একেবারে নিষেধ করিয়া দিলেন। দারূণ গ্ৰীষ্ম-ভয়ানক কষ্ট তথাপি স্বামিজী নিয়মভঙ্গ করিলেন না। যে স্বামিজী ঘণ্টায়। পাঁচ ছয়বার জলপান করিতেন। তিনি এক্ষণে একেবারে উহা ত্যাগ করিলেন। কেমন করিয়া জল না খাইয়া থাকিয়েতন জিজ্ঞাসা করিলে বলিতেন ‘যখনি শুনুলুম-এই ঔষধ খেলে জল খেতে পাবোনা তখনি দৃঢ় সংকল্প করলুম—জল থাবোনা। es?