বেলুড় মঠে। তখন প্ৰতিমা নির্বিঘ্নে ঠাকুরঘরের নীচের তলায় রক্ষিত হইয়াছে সুতরাং কোন চিন্তার কারণ রহিল না। “এদিকে স্বামী ব্ৰহ্মানন্দের যত্নে মঠ দ্রব্যসম্ভারে পরিপূর্ণপূজোপকরণেরও কিছুমাত্ৰ ক্ৰটি নাই দেখিয়া স্বামিজী স্বামী ব্ৰহ্মানন্দ প্ৰভৃতির প্রশংসা করিতে লাগিলেন। মঠের দক্ষিণের বাগানবাটীখানি-যাহ পূর্বে নীলাম্বর বাবুর ছিল, এক মাসের জন্য ভাড়া করিয়া পূজার পূর্বদিন হইতে শ্ৰীশ্ৰীমাঠাকুরাণীকে আনিয়া রাখা হইল। অধিবাসের সান্ধ্যাপূজা স্বামিজীর সমাধিমন্দিরের সম্মুখস্থ বিহুমূলে সম্পন্ন হইল। তিনি ঐ বিশ্ববৃক্ষমূলে বসিয়া পূর্বে একদিন যে গান গাহিয়াছিলেন—“বিম্ববৃক্ষমূলে পাতিয়ে বোধন, গণেশের কল্যাণে গৌরীর আগমন’-ইত্যাদি তাহা এতদিনে অক্ষরে পূর্ণ হইল। শ্ৰীশ্ৰীমাতাঠাকুরাণীর অনুমতি লইয়া ব্ৰহ্মচারী কৃষ্ণলাল মহারাজ। সপ্তমীর দিনে পূজকের আসনে উপবেশন করিলেন। কৌলাগ্ৰণী তন্ত্রমন্ত্রকোবিদ ঈশ্বরচন্দ্ৰ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ও শ্ৰীশ্ৰীমাতাঠাকুরাণীর আদেশে সুরগুরু বৃহস্পতির পৃষ্ঠায়। তন্ত্ৰধারকের আসন গ্ৰহণ করিলেন। যথাশাস্ত্ৰ মায়ের পূজা নিৰ্বাহিত হইল। কেবল শ্ৰীশ্ৰীমাতাঠাকুরাণীর অনভিমত বলিয়া মঠে পশু বলিদান হইল না। বলির অনুকল্পে চিনির নৈবেদ্য ও স্তুপীকৃত মিষ্টাল্লের রাশি প্ৰতিমার উভয় পার্শ্বে শোভা পাইতে লাগিল । গরীব দুঃখী কাঙ্গাল দরিদ্রদিগকে দেহধারী ঈশ্বর জ্ঞানে পরিতোষ করিয়া ভোজন করান এই পূজার প্রধান অঙ্গরূপে পরিগণিত হইয়াছিল। এতদ্ব্যতীত বেলুড়, বালী ও উত্তরপাড়ার e 8
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।