জীবন প্ৰান্তে । অক্টোবর মাসে স্বামিজীর অবস্থা আবার গুরুতর হইয়া দাড়াইল। তিনি আর গৃত্বে বাহির হইতে পারেন না, প্ৰায শয্যাগত হইষা পড়িলেন। কলিকাতাবী তদানীন্তন প্ৰসিদ্ধ চিকিৎসক ডাক্তার সাণ্ডাসকে ডাকিযা দেখান হইল। তিনি আসিযা তাহাকে সর্বববিধ দৈহিক ও মানসিক পবিশ্ৰম কবিতে নিষেধ কবিলেন। মঠেব সন্ন্যাসীরা পূব্ব হইতেই সতর্ক ছিলেন এক্ষণে আবও অধিক সতর্ক হইলেন। সকলকেই বলিষা দেওয হইল যেন স্বামিজীকে কোন গভীব চিন্তাসাপেক্ষ আলোচনায প্ৰবৃত্ত হইবাব সুযোগ না দেওয়া হয এবং আগন্তুক ভদ্রলোকগণ যেন অধিকক্ষণ র্তাহাকে বিবক্ত না কবেন। স্বামিজীব জীবন বক্ষ হইলে ভবিষ্যতে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইবে। স্বামিজীী কিন্তু একেবাবে নিস্ক্রিয়ভাবে বসিষা থাকিতে পাবিতেন না। শৰীবে সামর্থ্য ছিল না। তাই, নতুবা সে অবস্থাতেও তাহার কৰ্ম্ম করিবার উদ্যম ও ইচ্ছা ষোল আনা ছিল। ঘরে শুইয়া শুইযাও মঠেব ক্ষুদ্রতম গৃহকাৰ্য্যের সংবাদ লইতেন এবং একটু ভাল বোধ কৰিলেই স্বহস্তে কোন না কোন কৰ্ম্ম কবিতে প্ৰবৃত্ত হইতেন। চিকিৎসার ফলে রোগ কিঞ্চিৎ কমিলে তিনি ধীরে ধীরে আবাব গৃহের বাহিরে যাইতে আবন্ত করিলেন। কখনও নিড়ান দিয়া মঠেব জমীর ঘাস তুলিতেন, কখনও ফুল বা ফলের গাছ পুতিতেন বা তরকারীর বীজ বসাইতেন এবং so Be
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।