স্বামী বিবেকানন্দ । একেবারে হতাশ হইয়াছিলেন তাহা নহে। কারণ জানিতেন। যে ঠাকুরের ইচ্ছা হইলে ঐ সব বালকদের মধ্য হইতেই কালে মহা মহা ধৰ্ম্মবীর কৰ্ম্মবীর বাহির হইযা বর্তাহাব ভাব জগতে ছড়াইতে থাকিবে । কিন্তু তিনি চাহিতেন আরও অধিক । সংখ্যক শুদ্ধাচার ও বীৰ্য্যবান যুবক তাহার কাৰ্য্যের সহায়তা কবিতে অগ্রসব হয়। বলিতেন ‘নচিকেতার মত শ্রদ্ধাবান দশ বারটী যুবক পাইলে আমি দেশেব চিন্তা ও চেষ্টা নূতন পথে চালনা করে দিতে পাবি। চবিত্ৰবান, বুদ্ধিমান, পবার্থে সৰ্ব্বত্যাগী এবং আজ্ঞানুবৰ্ত্তী এমন একদল জোয়ান বাঙ্গালীব ছেলে চাই-এবাই দেশের ভবিষ্যৎ আশা ও ভবসাব স্থল । এরাই আমার ভাবসকল জীবনে পবিগত কবে নিজেব ও দেশের কল্যাণ সাধনে জীবনপাত কৰ্ত্তে পারবে। নতুবা দলে দলে কত ছেলে আসছে ও আসবে। তাদেব মুখেব ভাব তমোপূর্ণ-হৃদয উদ্যমশূন্য-শরীর ক্ষীণ—মন সাহসশ্বন্ত—তাদেব দিয়ে কি কাজ কুষ।” এই বিষয়েব উল্লেখ কবিয়া প্ৰিয শিষ্য শবচন্দ্ৰকে তিনি একদিন বলিযাছিলেন- “এখন কি করা উচিত। জানিস? একেবারে ফলকামনা শূন্য হযে কাজ করে যেতে হবে। ভাল, মন্দ-লোকে দুই ত বলবেই। কিন্তু ideal (উচ্চাদর্শ) সামনে "রেখে আমাদের সিঙ্গিব মত কাজ করে যেতে হবে ; তাতে ‘নিন্দন্তু নীতিনিপুণাঃ যদি বা স্তবস্তু-পণ্ডিত ব্যক্তিরা নিন্দাই ককান। আর স্তুতিই করুন।” বীরশ্রেষ্ঠ মহাবীরের পূজা অৰ্চনা ও তঁাহার আদর্শ অবলম্বনে কাৰ্য্য নিৰ্বাহ কয়৷ বৰ্ত্তমান ... Yost
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।