দক্ষিণ ভারত ! রাজ্যের সংবাদ বহন করিতেছে। যতই দিন যাইতেছে ততই যেন উহা স্পষ্টতর, ততই যেন উহা গম্ভীরতর হইতেছে। যেন হিমালয়ের প্রাণপ্ৰদ বায়ুস্পর্শে মৃতদেহের শিথিলপ্রাম অস্থিমাংসে পৰ্যন্ত প্ৰাণসঞ্চার করিতেছে-নিদ্রিত শব্ব জাগ্রত হইতেছে। তাহার জড়তা ক্রমশঃ দূর হইতেছে। অন্ধ যে সে দেখিতেছে না, বিকৃতমস্তিষ্ক যে সে বুঝিতেছে না, যে আমাদের এই মাতৃভূমি তাঙ্গাব গভীর নিদ্রা পরিত্যাগ করিম জাগ্রত হইতেছেন। আর কেহই এক্ষণে ইহঁর গতিরোধে সমর্থ নহে, আল ইনি নিদ্রায় আচ্ছন্ন হইবেন। না—কোন বহিঃস্থ শক্তিটি এক্ষণে অব ইহাকে চাপিষা রাখিতে, পরিবে না ; কুম্ভকর্ণের দীর্ঘনিদ্রা ভাঙ্গিতেছে।” সভা ভঙ্গের পূর্বে বাজা প্ৰস্তাব করিলেন, স্বামিজীর রামনাদে শুভ পদার্পণেব স্মৃতিচিহ্নস্বৰূপ এই স্থান হইতে চান্দা সংগৃহীত হইয়া মান্দ্ৰাজ দুৰ্ভিক্ষ ফণ্ডে প্রেরিত হউক । বামনাদে অবস্থান কালে বহুব্যক্তি স্বামিজীীর সহিষ্কাণাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছিলেন। একদিন তিনি এখানকার খৃষ্টিয়ান স্কুলগৃহে একটি বক্তৃতা দেন এবং আর একদিন তঁাহার সন্মানার্থ বাজপ্রোসাদে এক দরবাব হয়। এখানে স্বামিজীকে সংস্কৃত ও তামিল ভাষায় অনেকগুলি অভিনন্দন দেওয়া হয়। তিনিও একটি সুন্দর ক্ষুদ্র বক্তৃতা দেন। তাহাতে বলেন, রামনাদাধিপ। যদিও সাংসারিক পদমৰ্য্যাদায় খুব উচ্চ তথাপি তাহার চিত্ত সর্বদা { ঈশ্বরে যুক্ত এবং এই কারণে তিনি রামনাদপতিকে ‘রাজর্ষি’ উপধিতে ভূষিত করিলেন। অতঃপর রাজার একান্ত অনুরোধে স্বামিজী “ভারতে শক্তি উপাসনা সম্বন্ধে আর একটি বক্তৃতা দেন। ইহা &ኃ¢(9)
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।