‘ব্রহ্ম’ বলিতে লাগিলেন। ঐ কথা শুনিয়া তাহারও। তখন হাতের কমণ্ডলু হাতে বদ্ধ হইয়া রহিল ; একটা মহা নেশার ঘোরে আচ্ছন্ন হইয়া তিনিও তখনি ধ্যানস্থ হইয়া পড়িলেন। এইরূপে প্রায় ১৫ মিনিট গত হইলে, স্বামিজী প্ৰেমানন্দকে আহ্বান করিয়া বলিলেন—“যা, এখন ঠাকুর পূজায় যা।” স্বামী প্ৰেমানন্দের তবে চেতনা হয়! ক্ৰমে সকলের মনই আবার * “আমি আমার” রাজ্যে নামিয়া আসিল এবং সকলে যে যাহার কাৰ্য্যে গমন করিল। সেদিনের সেই দৃশ্য শিষ্য ইহজীবনে কখনও ফুলিতে পরিবে না। স্বামিজীর কৃপা ও শক্তিবলে তাহারাণচঞ্চল মনও সেদিন অনুভূতির রাজ্যের অতি সন্নিকটে গমন করিয়াছিল। এই ঘটনার সাক্ষরূপে বেলুড় মঠের সন্ন্যাসিগণ এখনও বৰ্ত্তমান রহিয়াছেন। স্বামিজীর সেদিনকার সেই অদ্ভূত ক্ষমতা দর্শন করিয়া, উপস্থিত সকলেই বিস্মিত হইয়াছিলেন। মূহুৰ্ত্ত মধ্যে তিনি সকলের মনগুলি যেন সমাধির অতল জলে ডুবাইয়ী দিয়াছিলেন। সেই শুভ দিনের অনুধ্যান করিয়া শিষ্য এখনও আবিষ্ট হইয় পড়ে এবং তাহার মনে হয় পূজ্যপাদ আচাৰ্য রূপায় ব্ৰহ্মভােব প্রত্যক্ষ করা তাহার ভাগেও একদিন ঘটিয়াছে। i. কিছুক্ষণ পরে শিষ্য সমভিব্যাহারে স্বামিজী বেড়াইতে গমন করিলেন, যাইতে যাইতে শিষ্যকে বলিলেন, “দেখালি, আজ কেমন হল? সবাইকে ধ্যানস্থ হতে হল এরা সব ঠাকুরের ... সস্তােন কি না, বলাবামাত্র এদের তখনি তখনি অনুভূতি হয়ে * , গেল।” । w >ag象
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।