জীবন প্রান্তে । এই ঘটনায় মনে পড়ে আর একদিনের কথা-যে দিন কাশীপুরের বাগানে পরমহংসদেব ভাবসমাধিমগ্ন অবস্থায় কয়েকজনের বক্ষে হাত দিয়া বলিষাছিলেন “চৈতন্য হউক” এবং র্যাহার যাহার বক্ষ স্পর্শ করিয়াছিলেন। তঁহারা সকলেই দেশকাল বিস্মৃতি হইয়া ও বাহচৈতন্য হারাইয়া সচ্চিদানন্দ সিন্ধুনীরে ডুবিয়া গিয়াছিলেন। উপরোক্ত ঘটনা ব্যতীত এই সময়কার আরও দুই একটি ঘটনা হইতে আমরা স্বামিজীর যোগিলন্ধ শক্তির কিঞ্চিৎ আভাস পাই । কতকটা অপ্রাসঙ্গিক হইলেও এখানে তাহার উল্লেখ না করিয়া থাকিতে পারিলাম না । তাহার শিষ্য নিৰ্ভযানন্দ প্ৰবল জরে আক্রান্ত হইয়াছেন-১০৭ ডিগ্রি পৰ্যন্ত জ্বরের উত্তাপ। মস্তিষ্কের বিকার পূর্ণমাত্রায় দেখা দিযাছে, অবিরত প্ৰলাপবাক্য উচ্চারণ করিতেছেন। আরোগ্যের আশা একপ্ৰকাবা তিরোহিত হইয়াছে, সকলেই বিষম উদ্বিগ্ন। স্বামিজীর মুখেও চিন্তার চিত্ন প্রকটত। এমন সময়ে একদিন তিনি হঠাৎ ঠাকুর ঘরে প্রবেশ করিলেন এবং ঠাকুরেব পূজাদি সমাপন করিয, তাহাৰ ভস্মাবশেষরক্ষিত কৌটাটি গঙ্গাজলে ধুইয়া সেই জল নিৰ্ভয়ানন্দ স্বামীকে পান করিতে দিলেন। তারপর জায় আর একটু বৃদ্ধি পাইয়া ধীরে ধীরে কমিতে লাগিল এবং ক্রমশঃ একেবারে কমিয়া গেল। স্বামিজী গুরুভাই ও অন্যান্য শিষ্যদিগের প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন “দ্যাথ ঠাকুরের শক্তি দেখ! তিনি কি না কাবুতে পারেন।” as উপরোক্ত কৌটাটিকে স্বামিজী অনেক সময় “আত্মারামের Yè es tv-0
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।