জীবন প্ৰান্তে । ঐ কাৰ্য্য আরম্ভার্থ অর্থসংগ্রহের প্রয়োজন হওয়ায় তিনি স্বামী ত্ৰিগুণাতীতকে উদ্বোধন প্রেস বিক্রয় করিতে বলিয়া দেন । শরীর অপেক্ষাকৃত সুস্থ হইলে ঐ বিষয় লইয়া সাধারণের সমক্ষে উপস্থিত হইবেন বলিয়া উক্ত অর্থ পৃথক ভাবে জমাও রাখা হইয়াছিল, কিন্তু দুৰ্ভাগ্যবশতঃ ইহার অল্পদিন পরেই তিনি স্বস্বরূপ সংবরণ করায় সঙ্কল্পিত কাৰ্য্য নিম্পন্ন হয় নাই । ১৯০১ সালের ঠিক শেষভাগে জাপান হইতে দুইজন কৃতবিদ্য ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তি মঠে আগমন করেন। অদূর ভবিষ্যতে জাপানে একটি ধৰ্ম্মমহাসভা আহবানের সম্ভাবনা হওয়ায় তাহাকে ঐ সভায় উপস্থিত হইবার জন্য নিমন্ত্রণ করাই র্তাহাদিগের আগমনের প্রধান উদ্দেশ্য। তাহারা স্বামিজীর নিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন—“আপনার ন্যায় জগৎপূজ্য ব্যক্তি যদি এই মহাসভায় যোগদান কায়ন তবেই ইহার সর্বাঙ্গীন সার্থকতা হইবে। আপনাকে সেখানে গিয়া আমাদিগকে সাহায্য ও উৎসাহদান করিতেই হইবে । এখন জাপানে ধৰ্ম্মের জাগরণ প্রয়োজন হইয়া পড়িয়াছে। আপনি ভিন্ন এমন আর কাহাকেও দেখিতেছি না। যিনি সেই প্রয়োজন সিদ্ধি বিষয়ে আমাদিগকে সহায়তা করিতে পারেন।” যিনি অগ্ৰগামী হইয়া স্বামিজীকে এই কথাগুলি বলিলেন তঁহার নাম আচাৰ্য্যপদ ওডা-তিনি জাপানের এক বৌদ্ধ মঠের অধ্যক্ষ। স্বামিজী তাহার ও র্তাহার সহচর মিষ্টার ওকাকুরার অকপট আগ্ৰহ দর্শনে মুগ্ধ হইয়া সোৎসাহে তাঁহাদের মনোরথ পূর্ণ করিতে সম্মত হইলেন। আর তাহার স্বীয় ব্যাধি বা তজ্জনিত ক্লেশের e
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৪৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।