M জীবন প্রান্তে । “মঠের জমির জঙ্গল সাফ করিতে ও মাটি কাটতে প্ৰতিবর্ষেই কতকগুলি স্ত্রী-পুৰুষ সঁওতাল আসিত। স্বামিজী তাহাদেব লইয়া কত রঙ্গ করিতেন এবং তাহদের সুখ দুঃখের কথা শুনিতে কত ভালবাসিতেন। একদিন কলিকাতা হইতে কয়েকজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক মঠে স্বামিজীর সঙ্গে দেখা করিতে আসিলেন। স্বামিজী তামাক খাইতে খাইতে সেদিন সঁওতালদের সঙ্গে এমন গল্প জুড়িলেন যে, স্বামী সুবোধীনন্দ আসিয়া র্তাহাকে ঐ সকল ব্যক্তির আগমন সংবাদ দিলে, বলিলেন“আমি এখন দেখা করিতে পারিব না, এদের নিযে বেশ আছি।” বাস্তবিকই সেদিন স্বামিজী ঐ সকল দীন দুঃখী সঁাওতালদের ছাড়িয়া আগন্তুক ভদ্রলোকদের সঙ্গে দেখা করিতে gठन = । সঁওতালদের মধ্যে একজনের নাম ছিল ‘কেষ্ট” । স্বামিজী কেষ্টাকে বড় ভালবাসিতেন। কথা কহিতে আসিলে, কেষ্ট কখন কখন স্বামিজীকে বলিত-“ওরে স্বামী বাপ-তুই আমাদের কাজের বেলা এখানকে আসিস্না-তোর সঙ্গে কথা বল্পে আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে যায় ; আর, বুড়াবাবা এসে বকে।” কথা শুনিয়া স্বামিজীর চোক ছল ছল করিত এবং বলিতেন—“না না, বুড়োবাবা (স্বামী অদ্বৈতানন্দ ) বক্বেন; তুই তোদের দেশের হুটাে কথা বলী-বলিয, তাহাদের সাংসারিক সুখ দুঃখের কথা পাড়িতেন। একদিন স্বামিজী কেষ্টকে বলিলেন-“ওরে, তোরা আম দের এখানে খাবি?” কেষ্ট বলিল,-“আমরা যে তোদের ove
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।