স্বামী বিবেকানন্দ । লিখিয়াছিলেন, তাহার কোনটি প্ৰকাশিত হইবে। স্বামিজী বলিলেন ‘এটা এমন কিছু গুরুতর বিষয় নয় যে তার মীমাংসার জন্য তোদের এখানে ছুটে আসার দরকার ছিল। এটুকু বুদ্ধি বিবেচনা খরচ যদি না কৰ্ত্তে পারি। তবে তোরা কি করে কাজ চালাবি ? এই দেখা দিকি নিবেদিতা-কেমন নিজের মাথা খাটিয়ে ধীরে ধীরে আপনায় কাজ করে যাচ্ছে—আমাকে একবারও বিরক্ত করে না ।” অবশ্য তারপর তিনি তর্কভূষণ মহাশয়ের অনুবাদই প্ৰকাশ করিতে বলিয়া দেন। কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে তাহার অভিপ্ৰায়ানুসারে তর্কভূষণ মহাশয়কে প্রথমকারি অনুবাদ পুনরাষ্য লিখিতে হইয়াছিল। কারণ তিনি তদৰ্শনে বলিয়াছিলেন “এ দেশের পণ্ডিতরা শ্লোকের ঠিক শব্দগত অনুবাদ করিতে জানেন না।” উপরোক্ত ঘটনায় পৰা পত্রিকা পরিচালকগণ ভযে আর অনেকদিন স্বামিৰ্জীর কাছে ঘেঁষেন নাই। কেবল একবার একটা গুবক্তর বিষয়ে ওঁর্তাহার মত জিজ্ঞাসাব প্রয়োজন হওয়াতে তেঁাতাকে একথানি পত্র লিখিয়া ছিলেন। স্বামিজী এবারও অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া তাহাদিগকে তাহার সহিত দেখা করিতে লিখেন, কারণ বিষয়টিী বিশেষ গুরুতর-এবং তৎসম্বন্ধে অনেক গোপনীয় কথাবার্তা ছিল । এরূপ বিষয় সম্বন্ধে তাহার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিবার জন্য দেখা না করিয়া পত্র লেখা অথচ পূর্বোক্ত সামান্য বিষয় লইয়া তঁহাকে বিরক্ত করিতে আসা উভয়ই বুদ্ধিহীনতার পরিচায়ক সুতরাং স্বামিজী অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। স্বামিজীী মিশন হইতে প্রকাশিত পত্রিকাদিগ্ন মতামত ও প্ৰবন্ধসমূহের উপর বিশেষ is 8
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।