জীবন প্ৰান্তে । লক্ষ্য রাখিতেন। সৰ্ব্বদা দেখিতেন যেন তাহাতে তাহার প্রচারিত মতের কোন বিরুদ্ধ কথা না লিখিত হয় ৷ একবার কোন প্ৰসিদ্ধ ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি কর্তৃক উহাতে এক সঙ্কীর্ণ সাম্প্রদায়িক প্ৰবন্ধ লিখিত হইয়াছিল, স্বামিজী তাহাতে বিশেষ রুষ্ট হইয়াছিলেন। আর একবার একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির মৃত্যু উপলক্ষে একটি সুবৃহৎ সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশিত হয়, তাহাতে দীর্ঘশ্বাস, অশ্রুজল ও শোক প্রকাশের অন্যান্য উপকরণের কিছু আধিক্য ছিল । স্বামিজী তাহা পাঠ করিয়া মহা বিরক্ত হন। ও তৎক্ষণাৎ সম্পাদককে ডাকাইয়া আনিয়া ওরূপ আসার আক্ষেপেক্তি দ্বারা কাগজ বোঝাই করার জন্য তঁহাকে বিলক্ষণ তিরস্কার করেন । আর এক সময়ে উক্ত সম্পাদক সমাজসংস্কার বিষয়ে লেখনী চালনা করিয়াছিলেন । সেবারও সংস্কারবাদীদের যন্ত্রস্বরূপে আপনাকে নিয়োগ করাতে তিনি স্বামিজীর তিরস্কারের পাত্ৰ হইয়াছিলেন। পাঠক দেখিয়াছেন। মঠের ক্ষুদ্র বৃহৎ প্ৰত্যেক কাৰ্য্যে স্বামিজীর দৃষ্টি ছিল। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা তিনি এত ভালবাসিতেন যে কোথাও এতটুকু ময়লা পৰ্য্যন্ত পড়িয়া থাকিবার যে ছিলনা। কখন কখন ভূত্যদিগের ব্যায়রামের জন্য ঘর দ্বারে বঁাট না পড়িলে নিজে ঝাটা লইয়া ঐ সকল পরিষ্কার করিতেন। যদি কেহ তাহা দেখিয়া তাহার হাত হইতে বঁটা লইবার জন্য আসিত, বা বলিত ‘আপনি কেন ? তাহা হইলেও বঁটা দিতেন না। বলিতেন ‘তা হলেই বা-অপরিস্কার থাকলে মঠের সকলের যে অসুখ করবে।” অনেক সময়ে নিজে সক so SI
পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৪৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।